জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ০৬টি সুবিধা ও ০৪টি অসুবিধা - জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা এই বিষয় সহ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা হবে আপনার। তাহলে চলুন বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
কাজেই, আজকের এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এক কথায় কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
- শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আজকে আমাদের আর্টিকেলের
প্রধান আলোচ্য বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি
পড়লে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ বর্তমান সময়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপক গুরুত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
নিম্নরূপঃ
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা সমূহঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা
সমূহ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কতিপয় সুবিধা
রয়েছে। চলুন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের গুণগত মান উন্নয়ন করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব সাধন করেছে। এটি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশেষ সুবিধা।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শস্যের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। শস্যের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভূমিকা অপরিসীম। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা সমূহের মধ্যে একটি।
- এছাড়াও বায়োফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেকটি বিশেষ সুবিধা।
- এছাড়া জিন ক্লোনিং এর মাধ্যমে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্ভিদের চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এটিও আরেকটি বিশেষ সুবিধা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর।
- আবার জিনগতভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা।
- বায়োরিমিডিয়েশন এর কাজেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির অন্যতম সুবিধা।
এতক্ষণ আপনাদের সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আলাপ আলোচনা
করলাম। আশা করি বিষয়টি বুঝেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা সমূহঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা
সমূহ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে জেনেছেন। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেশ কিছু অসুবিধা
রয়েছে। চলুন এখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে সৃষ্ট জীব পরিবেশের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। এটি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা সমূহের মধ্যে একটি।
- আবার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বারা সৃষ্ট জীব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশেষ অসুবিধা।
- এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে নৈতিক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা গুলোর মধ্যে একটি।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে সৃষ্ট উদ্ভিদ মানব দেহ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ হতে পারে। এটিও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা গুলোর মধ্যে একটি।
উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম এগুলোই হল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
অসুবিধা। এতক্ষণ আপনাদের সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে
বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে ইতিমধ্যে আপনারা
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। আমাদের
মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশেষ গুরুত্ব সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশেষ গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন
আজকে আমাদের মূল আলোচনাটি শুরু করি। আলোচনার শুরুতেই মনে রাখা ভালো যে, সবগুলো
দিক বিবেচনায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।
জীবের বৈশিষ্ট্য গুলো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে থাকেন। আবার রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংকে কাজে লাগানো হয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল লক্ষ্য
হলো জিনগুলোর মধ্যে পরিবর্তন সাধিত করা। জিনগুলো পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নতুন
উদ্ভিদ এবং প্রাণী সৃষ্টি করা। নতুন নতুন উদ্ভিদ এবং প্রাণী সৃষ্টি করতে জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। কারণ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি
ছাড়া নতুন নতুন উদ্ভিদ এবং প্রাণী সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না।
কাজেই, নতুন উদ্ভিদ এবং প্রাণী সৃষ্টির জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
অত্যন্ত বেশি। আবার কৃষি ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব রয়েছে।
উন্নত জাতের ধান সৃষ্টিতে এবং কৃষিজাত নানা রকম সামগ্রীর উন্নতি সাধন করার
লক্ষ্যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির গুরুত্ব চোখে পড়ার মতো। প্রাণিসম্পদ
এবং কৃষি খাতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এই যে
কৃষি ক্ষেত্রে এত নিত্যনতুন আবিষ্কার এই সবগুলোই সম্ভব হয়েছে মূলত জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন কৃষি ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
কৃষি ক্ষেত্রের পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর যথেষ্ট
গুরুত্ব রয়েছে। নতুন নতুন ওষুধ সৃষ্টিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি খাতেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এতক্ষন আপনাদের সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি বিষয়টি আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের মাঝে অনেকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে
চাই। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশেষ ক্ষতিকর
দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যে বিষয়টা জেনে রাখা আমাদের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিকের মধ্যে প্রথমেই যে বিষয়টি রয়েছে তা হল
স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ার
সম্ভাবনা অনেক বেশি। এটি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম ক্ষতিকর দিক। এর
পাশাপাশি মানুষের এলার্জি সমস্যা দেখা যেতে পারে। আবার এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর ফলে সৃষ্ট জীব ব্যবহারের ফলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী বিভিন্ন জীবাণু বৃদ্ধি
পেতে পারে। যা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। এটিও জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে অন্যতম।
এর পাশাপাশি আমাদের জীব বৈচিত্র হ্রাস পেতে পারে এবং জিন দূষণ সংঘটিত হতে পারে।
এগুলোও হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অন্যতম ক্ষতিকর দিক। খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি
বৃদ্ধি পায় এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে সৃষ্ট খাবার থেকে। দীর্ঘদিন জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর সৃষ্ট বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে মানুষের জিনগত
পরিবর্তন সাধিত হয় এর পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টিরও অবকাশ দেখা যায়।
এই সমস্যাগুলো হল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অন্যতম ক্ষতিকর দিক। এতক্ষণ আপনাদের
সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা
করলাম। আশা করছি বিষয়টি আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ সম্পর্কে এখন আমাদের বিস্তারিত আলোচনার বিষয়।
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধাপসমূহ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত পাঁচ ধাপে বিভক্ত। এই ধাপগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।
নিচে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ দেওয়া হলঃ
- কাঙ্ক্ষিত জিন নির্বাচন করা এবং নির্দিষ্ট স্থানে কর্তন কর
- প্লাজমিড নির্বাচন করা এবং জোড়া লাগানো
- জিনের রূপান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ
- কাঙ্খিত জিনোমে ডিএনএ সন্নিবেশ করা
- ডিএনএ সন্নিবেশ নিশ্চিতকরণ
এখানে যে পাঁচটি ধাপের কথা উল্লেখ করা হলো সেই ধাপগুলো হল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর ধাপ। আশা করছি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের এখন আলোচনার
বিষয়। আমরা অনেকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকি। যেটা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে
তুলে ধরবো। তাহলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে
জানার জন্য এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অনেক তথ্য পাবেন ইনশাল্লাহ। নতুন
উদ্ভিদ এবং জীব সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই মূলত এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা
হয়ে থাকে।
আর আমাদের বেঁচে থাকা এবং জীবনমান উন্নত করতে হলে নতুন উদ্ভিদ এবং জীবের
প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার রয়েছে
কৃষিক্ষেত্রে। কারণ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন কৃষি পণ্যের উন্নয়ন সাধনের
লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। আর কৃষি পণ্য আমাদের বেঁচে থাকার সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত।
তাহলে বুঝতেই পারছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কতটা প্রয়োজন আমাদের জন্য। জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি পণ্যের উন্নতি হবে।
আর কৃষি পণ্যের উন্নতি হলে আমাদের বেঁচে থাকাটাও সহজ হবে এবং জীবন মান উন্নত হবে।
তাহলে আমাদের বেঁচে থাকতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। কৃষি
ক্ষেত্রের পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার অপরিসীম।
বিভিন্ন ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরি করার লক্ষ্যে গবেষণাগারে এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর এই ভ্যাকসিন বা টিকা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আবার তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এতক্ষণের আলোচনা
থেকে এখন নিশ্চয়ই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে এখন আমাদের বিস্তারিত
আলোচনার বিষয়। আমরা অনেকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন অর্থনৈতিক গুরুত্ব
সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশেষ অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে
জেনে নেওয়া যাক। অর্থনৈতিক খাতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অবদান অত্যন্ত বেশি।
আমরা সকলেই জানি, আমাদের দেশ মূলত কৃষি প্রধান দেশ। আর দেশের অর্থনীতির চাকাকে
বেগবান রাখতে কৃষি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত কৃষি ক্ষেত্রেই উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাহলে
বোঝা যাচ্ছে যে, অর্থনীতিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আবার
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিত্যনতুন অনেক উদ্ভিদ এবং প্রাণী
তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। এই উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলো বিদেশে রপ্তানি করার মাধ্যমেও
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
যেটা আমাদের অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এটা একমাত্র
সম্ভব হচ্ছে এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। আশা করছি জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের বোঝাতে পেরেছি। এর পাশাপাশি
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সৃষ্ট নানারকম কৃষি পণ্য এবং বীজ ব্যবহারের ফলে কৃষকের
জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে। যার ফলে তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এটা সম্ভব হচ্ছে এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রযুক্তির মাধ্যমে।
কারণ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সৃষ্ট এই বীজ এবং পণ্যগুলো ব্যবহার করে তারা
স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সাহায্য করছে।
এতক্ষন আপনাদের সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে
বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা
সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এক কথায় কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? এখন আমরা তা জানবো।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা বংশানু প্রকৌশল বলতে জীবের বংশ ক্রম বা বংশানু এবং
ডিএনএ এর পাশাপাশি অন্যান্য নিউক্লিক অ্যাসিড এর বিভিন্ন কৃত্রিম পরিবর্তনকে
বোঝানো হয়ে থাকে। মোট কথা, কোন জীবের বংশানু, ডিএনএ এবং অন্যান্য নিউক্লিক
এসিডের কৃত্রিমভাবে যে পরিবর্তন সাধিত করে অন্য নতুন উদ্ভিদ বা জীব সৃষ্টি করা
হয় তাকেই মূলত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়ে থাকে। সহজ ভাবে বলতে গেলে,
বংশানুক্রমে যে কৃত্রিম পরিবর্তন সাধিত হয় সেটিই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কেঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে? এখন
আমরা তা জানবো। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক হল পল বার্গ। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
শাস্ত্রে পলবার্গের সর্বোচ্চ অবদানের জন্য তাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক বলা
হয়।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অপর নাম কিঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অপর নাম
কি? এখন আমাদের তা জানতে হবে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অপর নাম হল রিকম্বিনেন্ট
ডিএনএ টেকনোলজি প্রযুক্তি। এই রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি প্রযুক্তিকে সংক্ষেপে
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়ে থাকে।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
সুপ্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা হয়েছে আপনার। আশা করছি
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। আজকের এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়ে
যদি কোথাও কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে
জানাবেন। আমি যথাযথ চেষ্টা করব আপনার সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে প্রতিনিয়তই এরকম নিত্য নতুন আপডেট খবর
প্রকাশ করে থাকি। তাই বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট খবর সব সময় সবার আগে পাওয়ার জন্য
আমার এই ওয়েবসাইটটিকে (M.F. Hossain) গুগল নিউজে ফলো করতে পারেন। আশা করছি আপনার
অনেক উপকার হবে। আর আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি এতটুকুও উপকার মনে হয়ে থাকে
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
তাদেরও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অবশ্যই জরুরী।
আপনি এই আর্টিকেলটি তাদের মাঝে শেয়ার করলে সকলেই এই বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে।
তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা এখানেই শেষ করছি। কথা
হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন
এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও মহান আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি
যেন আমাকে আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;
comment url