ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে আপডেট - ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয়ে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা এই বিষয় সহ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে? তা জেনে নিই।
কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করবে। বিশেষ করে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা এই
আর্টিকেলটি পড়লে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের যাবতীয় সকল তথ্য পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে এককথায় কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
- শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? আজকে এটি আমাদের আর্টিকেলের প্রধান
আলোচ্য বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে
যে বিষয়গুলো লাগে এই সম্পর্কে জানতে চাই। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ডাচ
বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন। তার সাথে সাথে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।
যেই বিষয়টা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট প্রত্যাশী সকলের জন্যই প্রয়োজনীয়।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করার জন্য কি কি লাগে সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করতে হলে প্রথমেই আপনার
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে। জাতীয় পরিচয় পত্র যেহেতু লাগবে তাহলে
বুঝতেই পারছেন আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। অর্থাৎ ডাচ-বাংলা
ব্যাংকে একাউন্ট করতে এটিও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারপর ডাচ বাংলা ব্যাংকে
একাউন্ট করার জন্য আপনার সদ্য তোলা ৪ কপি রঙিন ছবি জমা দিতে হবে।
তারপর আপনি যাকে নমিনি করবেন তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট
সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে। এরপর আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স হিসেবে নূন্যতম ৫০০
টাকা জমা দিতে হবে। প্রয়োজন বোধে ইউটিলিটি বিলের ফটোকপিও জমা দেওয়ার প্রয়োজন
হতে পারে। এরপর ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করার জন্য একটি সুপারিশকারী একাউন্টের
প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ ডাচ বাংলা ব্যাংকে আগে থেকে একাউন্ট রয়েছে এরকম একটি
ব্যক্তির সুপারিশ প্রয়োজন হবে।
আবার আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তবে আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন
হবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য। এই যাবতীয় তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে ডাচ
বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে। তাছাড়া একাউন্টের ধরন ভেদে আরো কাগজপত্র লাগতে
পারে। যেমনঃ ১৮ বছরের কম হলে অর্থাৎ স্টুডেন্টদের জন্য জন্ম নিবন্ধন কার্ডের
ফটোকপি লাগবে। আবার একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে
একাউন্ট করার জন্য।
আবার স্টুডেন্টদের জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্রের প্রয়োজন
হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট যেহেতু বিভিন্ন ধরনের হয়ে
থাকে। তাই বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং একাউন্ট এর ধরন অনুযায়ী উপরোক্ত এই তথ্য গুলো
অবশ্যই লাগবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করার জন্য। উপরে যেই বিষয়গুলোর কথা বলা
হলো তার সবগুলোই একাউন্টের ধরন ভেদে লাগবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংক
একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
তাহলে এই আর্টিকেলটি আশা করছি আপনার উপকারে এসেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্টের
জন্য কি কি লাগে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এখন
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমাদের বিস্তারিত আলোচনার
বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে কিভাবে একাউন্ট খুলতে
হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ডাচ বাংলা
ব্যাংকে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে অনেক বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার
নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমত নিকটস্থ কোনো ডাচ-বাংলা
ব্যাংকের শাখা অফিসে যেতে হবে। এছাড়াও ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য
এনবিএন অ্যামরো (ABN Amro) মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে অনলাইনে একাউন্ট
খুলতে। এছাড়াও অনেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে থাকে
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে। এই মাধ্যমেও ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করা যায়।
তবে শাখা অফিসে গিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলাই ভালো হবে। কিন্তু শাখা
অফিসে গিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের
ফটোকপি এবং দুই কপি ছবি জমা দিতে হবে। তারপর ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করার
কাঙ্ক্ষিত ফর্মটি ফিল আপ করতে হবে। তারপর আপনি যাকে নমিনি করবেন তার জাতীয়
পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং এক কপি ছবি সহ ব্যাংকের শাখা অফিস বা ফাস্ট ট্র্যাক
অফিসে দায়িত্বরত কর্মচারীকে দিতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে মূলত ৭ ধরনের অ্যাকাউন্ট করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে
আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। কাঙ্খিত তথ্য গুলো
দায়িত্বরত ম্যানেজার ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তারপর আপনি যেই ধরনের
একাউন্ট খুলতে চান তার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক ফি জমা দিতে হবে আপনার
একাউন্টটিকে সচল করার জন্য। তারপর নির্ধারিত একাউন্ট ফি পরিশোধ করার পরে
দায়িত্বরত অফিসার আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত ডাচ-বাংলা একাউন্টটি খুলে দিবে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই একজন
সুপারিশকারী প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে আগে থেকে একাউন্ট রয়েছে
এমন ব্যক্তি সুপারিশ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। উপরোক্ত এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে
মূলত ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হয়। উপরোক্ত এই নিয়মগুলো হল ডাচ বাংলা
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। যেহেতু ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ৭ ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার
ব্যবস্থা রয়েছে।
কাজেই, একাউন্ট খোলার পূর্বে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট
খুলবেন। নিচে পর্যায়ক্রমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে বিভিন্ন রকমের অ্যাকাউন্ট খোলার
নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট
খোলার নিয়ম সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এবং বিষয়গুলো বোঝানোর
চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝতে
পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে? এখন আমরা এই বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক
একাউন্ট খুলতে কত টাকা প্রয়োজন হয় এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আজকের এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে? এই
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকে আমাদের
মূল আলোচনাটি শুরু করি।
আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট মূলত ৭ ধরনের হয়ে থাকে।
অর্থাৎ ৭ টি ভিন্ন ভাবে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন। আর বিভিন্ন ধরনের
অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণও বিভিন্ন রকম রয়েছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্টের
প্রথমেই রয়েছে সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট (Savings Deposit Account)। এই একাউন্টের
ধরন হলো সেভিংস একাউন্ট। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে সেভিংস ডিপোজিট একাউন্টটি খোলার জন্য
আপনার প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে একাউন্টটি সচল করার জন্য।
এরপর রয়েছে এক্সেল সেভিংস একাউন্ট (Excel Savings Account)। এই একাউন্টের ধরানো
সেভিংস একাউন্ট নামে পরিচিত। ডাচ বাংলা ব্যাংকে এক্সেল সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য
৫০০ টাকার প্রয়োজন হবে। এরপর যে একাউন্টের কথা বলব সেটি হলো সেভিংস ডিপোজিট
একাউন্ট প্লাস (Savings Deposit Account Plus)। সেভিংস অ্যাকাউন্টের আওতায় ডাচ
বাংলা ব্যাংকে এই অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করার জন্য আপনার ৫০০০ টাকা প্রয়োজন হবে।
যেহেতু ডাচ বাংলা ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থা চালু রয়েছে তাই আশা
করছি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে? তা জানতে পেরেছেন। এর
পাশাপাশি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে আরো কিছু একাউন্ট রয়েছে এগুলোও আলোচনা করব। এরপর ডাচ
বাংলা ব্যাংকের আরেকটি একাউন্ট হলো ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্ট (DBBL School
Savers Account)। এই অ্যাকাউন্টটি মূলত স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট নামে পরিচিত।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে এই একাউন্টে ক্রিয়েট করার জন্য নূন্যতম ৫০০ টাকা প্রয়োজন
হয়।
এরপর রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের আরেকটি একাউন্ট হল কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট
(Current Deposit Account)। চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট নামে পরিচিত এই
অ্যাকাউন্টটি খোলার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকে ১০০০ টাকা প্রাথমিকভাবে জমা দিতে হবে।
এই এক হাজার টাকা জমা দেওয়ার পরে আপনার কারেন্ট ডিপোজিট অ্যাকাউন্টটি সচল হবে।
আবার ডাচ বাংলা ব্যাংকের আরেকটি একাউন্ট হলো ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট
একাউন্ট (Interest Free Savings Deposit Account)।
এই অ্যাকাউন্টটিও সেভিংস অ্যাকাউন্ট নামে পরিচিত। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে এই একাউন্টটি
খোলার জন্য আপনার ৫০০০ টাকা প্রয়োজন হবে। সর্বশেষ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আরেকটি
একাউন্ট রয়েছে তা হলো স্পেশাল নোটিস ডিপোজিট একাউন্ট (Special Notice Deposit
Account)। এটি ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট নামে পরিচিত। ডাচ বাংলা ব্যাংকে এই
একাউন্টটি খোলার জন্য আপনার ন্যূনতম ২০০০ টাকা প্রয়োজন।
উপরোক্ত আলোচনায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের যে ৭ ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সে সম্পর্কে
আলোচনা করলাম এবং এই ৭ ধরনের কোন একাউন্ট খুলতে কত টাকা প্রয়োজন এই বিষয় নিয়ে
বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত
টাকা লাগে? এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো
বোঝাতে পেরেছি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? আমরা এখন এই বিষয় নিয়ে
বিস্তারিত জানবো। অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি
কি লাগে? এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে
আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় সম্পর্কে
সুস্পষ্ট জানতে পারবেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট থাকা খুবই জরুরী এবং
অনেক সুবিধাজনক।
এরই প্রেক্ষিতে যারা স্টুডেন্ট এবং নতুন একাউন্ট খুলতে চাই তারা জিজ্ঞাসা করে
থাকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে। চলুন দেরি না
করে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যে তথ্যগুলো প্রয়োজন সে
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে যা যা
লাগে তা নিম্নরূপঃ
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে লাগবে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর ফটোকপি।
- স্টুডেন্ট যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে সেই প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য।
- স্টুডেন্টদের প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হতে পারে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে।
- তারপর স্টুডেন্টদের সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- তারপর যাকে নমিনি করা হবে তার আইডি কার্ডের ফটোকপি সহ এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি।
- একটি সচল মোবাইল নম্বর দিতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য।
- কোন কোন ক্ষেত্রে বাসার বিদ্যুৎ বিল এর ফটোকপিও প্রয়োজন হতে পারে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে।
- পরিশেষে, ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে এরকম একজন ব্যক্তির সুপারিশ প্রয়োজন হয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে।
উপরোক্ত যে তথ্যগুলো দেওয়া হল তার সবগুলোই হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট
একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংক
স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা
করলাম। আশা করছি এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট
খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে এখন আমাদের বিস্তারিত
আলোচনার বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট
একাউন্টের যাবতীয় সুবিধা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে
আমাদের এই আর্টিকেল রচনা। চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক
স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। যে বিষয়টা জেনে রাখা
আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট এর প্রয়োজন ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পাশাপাশি
ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে জেনে রাখা। ডাচ বাংলা
ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের
স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের সুবিধা নিম্নরূপঃ
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুললে আপনি সাথে সাথে একটি এটিএম কার্ড পাবেন। এটি ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্টের বড় সুবিধা।
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে আপনার একাউন্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য ২ হেক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এটিও ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা।
- এছাড়াও ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে যে কোন শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যায় অনায়াসেই। ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধার মধ্যে এটিও অন্যতম।
- এর পাশাপাশি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকেও খুব সহজে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
- আপনি শিক্ষার্থী অবস্থায় যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলেন তবে তা সব সময় ব্যবহার করতে পারবেন। যেটা অন্যান্য ব্যাংকিংয়ে খুব একটা সম্ভব হয় না। তাই এটি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টে আরেকটি সুবিধা।
- আবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা সংক্ষেপে আই-ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং এসএমএস ব্যাংকিং এর সুবিধা তো রয়েছেই। এই সবগুলোই হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা।
- আবার একজন স্টুডেন্ট ইচ্ছে করলেই এডুকেশন লোন এর জন্য খুব সহজেই আবেদন করতে পারবে। এই সুবিধাটিও দিয়ে থাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট।
- আবার মোবাইল অ্যাপস রকেট ব্যবহার করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সংযুক্ত করা যায়। এটিও আরেকটি সুবিধা ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য।
- ইতিপূর্বে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য কোন চেক বই প্রদান করা হতো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্যও এই চেক বই প্রদান করা হয়। কাজেই, ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টে এই সুবিধাটিও যোগ হয়েছে।
- এবার আপনি ঘরে বসেই ডিজিটাল ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুব সহজে পরিচালনা করতে পারবেন। এটিও ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের আরেকটি চমৎকার সুবিধা।
উপরোক্ত যে সুবিধা গুলোর কথা আলাপ আলোচনা করা হলো তার সবগুলোই হলো ডাচ বাংলা
ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ডাচ-বাংলা
ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের যাবতীয় সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকের এই
আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট কিভাবে দেখবেন এই বিষয়
সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা ডাচ বাংলা
ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। ডাচ বাংলা ব্যাংক
একাউন্ট চেক করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চেক করার
নিয়ম নিম্নরূপঃ
- Nexus pay অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি আপনার ডাচ-বাংলা একাউন্টটি দেখতে পারবেন। Nexus pay অ্যাপস এর মাধ্যমে একাউন্টটি দেখার জন্য অবশ্যই এই অ্যাপসে আপনার ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে লগইন করা থাকতে হবে।
- এটিএম কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখতে পারবেন। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার জন্য ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ প্রয়োজন হবে। সেখানে গিয়ে আপনি আপনার কার্ড প্রবেশ করিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুব সহজেই দেখতে পারবেন।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চেক করতে পারবেন। বর্তমানে সকলেই প্রায় এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যবহার করে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখে থাকে। কাজেই, ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা এই মাধ্যমটিও হতে পারে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম।
- এছাড়াও আপনি মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশন ব্যবহার করেও আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য আপনার মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে BAL<space >account No লিখতে হবে। তারপর 3225 এই নাম্বারে সেন্ড করতে হবে। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার একাউন্টের বর্তমান অবস্থা। তাহলে মেসেজ অপশন ব্যবহার করেও ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চেক করা যায়।
- এছাড়া আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক ম্যানেজার অথবা ক্যাশিয়ারের সঙ্গে কথা বলে আপনি আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টটি চেক করে দেখতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য শুধু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিলেই হবে।
উপরোক্ত এই মাধ্যমগুলো হল ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম। উপরোক্ত এই
মাধ্যমগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ডাচ বাংলা ব্যাংক
একাউন্টটি দেখতে পারবেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার
বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করেছি। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেভিং একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস
একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা রাখার
পূর্বে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের চার্জ সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।
শুধু ডাচ বাংলা ব্যাংক নয়, যেকোনো ব্যাংকেই টাকা রাখার জন্য অবশ্যই ব্যাংকের
চার্জ ফি কেমন? কিংবা টাকা রাখার নিয়ম নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া
প্রয়োজন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট
চার্জ নিয়ে আলোচনা করব। আপনার ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে যদি ১০ হাজার
টাকা থাকে তাহলে একাউন্ট মেইনটেন্স ফি প্রদান করতে হবে না। ডাচ বাংলা ব্যাংকে
প্রতি ছয় মাস পরপর একাউন্ট মেন্টেন্স ফি সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার।
১০ হাজার টাকার বেশি কিন্তু ২৫ হাজার টাকার মধ্যে যদি আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকে
সেভিংস একাউন্টে টাকা থাকে তবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং ১৫% ভ্যাট দিতে হবে। আবার
যদি ২৫ হাজার টাকার বেশি কিন্তু ২ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে ২০০ টাকা চার্জ এবং ১৫%
সরকারি ভ্যাট দিতে হবে। আবার ২ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে ২৫০ টাকা
এবং ১৫% সরকারি ভ্যাট আপনাকে দিতে হবে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট
চার্জ হিসেবে।
আবার ১০ লক্ষ টাকার বেশি থাকলে আপনাকে ১৫% সরকারি ভ্যাট সহ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা
ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ দিতে হবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ বাংলা
ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করলাম। আশা করছি
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের সেভিংস
অ্যাকাউন্ট চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা নিয়ে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ডাচ বাংলা সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর বিভিন্ন
সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যে বিষয়টি জেনে রাখা আমাদের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা
দিয়ে থাকে।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে জেনে আসি। ডাচ
বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা সমূহ নিম্নরূপঃ
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করার পরে আপনি চাইলে চেক ইস্যু তৈরি করতে পারবেন। যেটা ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এর একটি সুবিধা।
- আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট তৈরি করেন তবে সেই ব্যাংকের ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করা যায়। এর দরুন ঘরে বসেই আপনি আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন অনায়াসেই। এটিও ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের অন্যতম আরেকটি সুবিধা।
- অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধার পাশাপাশি এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে।
- আপনার ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে সঞ্চয়ী হিসাবপত্র খুলতে পারবেন এর পাশাপাশি ডিপিএস সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এটিও ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা।
- যেকোন শাখা অফিস বা ব্রাঞ্চে টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব এই ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে। অর্থাৎ এক শাখা থেকে অন্য শাখায় খুব সহজেই টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব। এটিও ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের বিশেষ সুবিধা।
- ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করা যায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই। এটিও ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের বিশেষ সুবিধার মধ্যে পড়ে।
- আপনার সেভিংস একাউন্ট মোতাবেক প্রতিনিয়তই টাকা লেনদেন করতে পারবেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট থেকে। এটিও ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।
- এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট থেকে আপনি ব্যাংক ঋণ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজন বোধে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন এই সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে।
উপরোক্ত যে আলোচনাগুলো করা হলো তার সবগুলোই হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট
এর সুবিধা। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এর কি কি
সুবিধা রয়েছে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করেছি। আশা করছি
বিষয়গুলো আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে এককথায় কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কোডঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কোড এর মোবাইল
ব্যাংকিং কোড হল *322#। এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংক কোড হিসেবে *322# এই কোডটি
ব্যবহার করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার কয়টিঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট
নাম্বার কয়টি? এখন আমরা তা জানবো। মূলত ডাচ বাংলা একাউন্ট নাম্বার সংখ্যা হলো ১৩
টি। অর্থাৎ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার ১৩ ডিজিটের সংখ্যা হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ ১৩২১৫০০১০২৭৯৮।
ডাচ বাংলা ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বারঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার
হল ১৬২১৬। এই নাম্বারে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এটি
ডাচ বাংলা ব্যাংকের হেল্প নাম্বার। এছাড়াও ইমেইলের মাধ্যমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইমেইল এড্রেসঃ
ccs.cmc@dutchbanglabank.com।
ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল নাম্বার পরিবর্তনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল
নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। তারপর আবেদন সাপেক্ষে
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কাঙ্খিত মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করতে পারবেন। মোট তিনটি
পদ্ধতিতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করা যায়। যথাঃ ইন্টারনেট
ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যবহার করে, এসবিআই এর যে কোন শাখা অফিস থেকে এবং এসবিআই এর
এটিএম থেকে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেবা সমূহঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক সেবা সমূহ সম্পর্কে আমরা
জানব। এই পুরো আর্টিকেল জুড়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেবা সমূহ নিয়ে আলোচনা করেছি।
আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বিস্তারিত সেবা সমূহ
সম্পর্কে জেনেছেন। কারণ পুরো আর্টিকেল জুড়েই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেবা সমূহ
সম্পর্কে লেখা হয়েছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরমঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম পূরণের
মাধ্যমে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের
অ্যাকাউন্ট ফরম পূরণ করার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কাঙ্খিত ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ
করতে পারেন অথবা ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে কোন শাখা অফিসে গিয়ে সরাসরি ফরম সংগ্রহ
করে পূরণ করতে পারেন। আশা করছি বুঝেছেন।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
পরিশেষে, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এখন নিশ্চয়ই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট
খুলতে কি কি লাগে? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি আপনি
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কেও সুস্পষ্ট একটি ধারণা হয়েছে
আপনার। আমি আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার জন্য একটু হলেও উপকার হয়েছে। আপনি
ডাচ বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি
আপনার এতটুকুও উপকার মনে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং
পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
কারণ তাদেরও ডাচ-বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা উচিত বলে আমি মনে
করছি। আর এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোথাও কোন বিষয় বুঝতে একটুও
অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানাবেন। আমি যথাযথ চেষ্টা
করব আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এই ওয়েবসাইটে এরকম নিত্য নতুন সব
আপডেট এবং পরীক্ষিত খবর প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট খবর সবার আগে জানার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করার জন্য অনুরোধ রইল। পাশাপাশি অন্য কেউ ভিজিট করার জন্য
উদ্বুদ্ধ করবেন। কারণ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ের
খবর তুলে ধরার চেষ্টা করি। যেটা আমাদের সকলেরই জেনে থাকা প্রয়োজন। আমি চেষ্টা
করি সব সময় সঠিক তথ্য আপনাদেরকে জানানোর জন্য। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে
আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করছি।
কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ
থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও মহান আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া
করবেন তিনি যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;
comment url