ডেঙ্গু জ্বর হলে ৯টি করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের ১১টি লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান? সমস্যা নেই , আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms of dengue fever) সহ ডেঙ্গু রোগের ঔষধ এবং ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সহ ডেঙ্গু রোগ বিষয়ক আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if you have dengue fever) এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বিষয়ে জানতে হবে।
তাহলে ডেঙ্গু জ্বর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ডেঙ্গু জ্বরের বিভিন্ন বিষয়াদি সম্পর্কে স্পষ্ট একটা ধারণা পাবেন ইনশাল্লাহ। তো আমি আশা করব একজন সুপ্রিয় পাঠক হিসেবে আপনি আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
- ভূমিকা
- ডেঙ্গু জ্বর কি (What is dengue fever?) | ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে | ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms of dengue fever) | ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ
- ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if dengue fever) | ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার (Dengue causes and treatment)
- ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় (Prevention of dengue fever) | ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিবেদন | ডেঙ্গু প্রতিরোধ স্লোগান
- ডেঙ্গু রোগের ঔষধ (Dengue medicine) | ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা (Dengue treatment) | ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
- শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা | ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর একটি পরিচিত রোগের মধ্যে অন্যতম। ডেঙ্গুজ্বর একটি মশা বাহিত রোগ। এডিস মশার সংক্রমণের ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। আজকে এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if dengue fever) ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms of dengue fever)সহ ডেঙ্গু জ্বর কি ? ডেঙ্গু রোগের ঔষধ, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ,ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়, ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ , ডেঙ্গু জ্বরের কারণ ও প্রতিকার , ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (Dengue jor hole koronio ki) কি? ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিবেদন , ডেঙ্গু রোগের ওষুধ, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে? ইত্যাদি বিষয়ে সহ ডেঙ্গু জ্বরের আরো বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। যে বিষয়গুলো আমাদের সকলেরই জানা থাকা দরকার। ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য জানিনা।
এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো আজকের এই আর্টিকেলটি প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা, আমরা প্রায় কেউ না কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হই। বিষয়গুলো জানা থাকলে সুস্থ হওয়া খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়ে উঠবে। তো চলুন শুরু করি ডেঙ্গুজ্বর সংক্রান্ত আজকের বিস্তর আলোচনা। ডেঙ্গু জ্বর সংক্রান্ত সকল বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। তো আমি আশা করব একজন প্রিয় পাঠক হিসেবে আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং ডেঙ্গু জ্বর এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হবেন।
ডেঙ্গু জ্বর কি (What is dengue fever?) | ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে | ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
এখন এই প্যারাগ্রাফে আমরা জানবো ডেঙ্গু জ্বর কি? (dengu jor ki?) ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে? বা ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয় এ বিষয়গুলো । ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসের নাম হল ফ্লাভিভাইরাস (flavi virus)।
এখন জানার বিষয় হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে? ডেঙ্গুজ্বর মূলত তিন দিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। কারো ক্ষেত্রে এ সময়ের তারতম্যও হতে পারে। ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Dengue jor er lokkhon) গুলো দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Dengue jor er lokkhon) সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (Dengue jor hole koronio ki) এ বিষয়টিও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms of dengue fever) | ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ
এখন আমি আপনাদের সাথে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms of dengue fever) বা ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Dengu jorer lokkhon)। ডেঙ্গু জ্বরের বিভিন্ন লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে। যে লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয় যে তার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। নিচে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলোঃ
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এর মধ্যে প্রথমে যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে জ্বর ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
- ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব হওয়া।
- চোখের পিছনে ব্যথা হওয়া ও মাথা ব্যথা হওয়া ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ।
- ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হল কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া।
- চামড়ায় লালচে দাগ হওয়া ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি।
- ক্ষুধা কমে যাওয়ায় ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হতে পারে।
- শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন: হাড়, কোমর, অস্থিসন্ধি সহ মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হওয়া।
- রোগী অসুস্থ বোধ করে এবং খাবারের রুচি কমে যাওয়া ডেঙ্গু রোগের লক্ষণের মধ্যে অন্যতম।
- ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হল যদি সিভিয়ার ডেঙ্গু হয় তবে তীব্র পেট ব্যথা, রক্ত বমি, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
- ডেঙ্গু রোগের আরেকটি লক্ষণ হল ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম থেকে মানবদেহে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে।
- ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত চলাচল করে এবং রোগী খুব অস্থির হয়ে ওঠেন। এমতাবস্থায় রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
এগুলোই হলো মূলত ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Dengu jorer lokkhon) বা ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ। এখন নিশ্চয়ই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা পেয়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if dengue fever) | ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার (Dengue causes and treatment)
এতক্ষন আমরা জানলাম ডেঙ্গু রোগ কি? এই সম্পর্কে। মূলত এডিস মশার সংক্রমণের কারণে ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আরেকটি আলোচ্য বিষয় যেটি অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if dengue fever) বা ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার এই সম্পর্কে এবার বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (Dengu jor hole koronio) কি? এবং ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- ডেঙ্গু রোগ প্রতিকারে জ্বর কমানোর ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে এটি অবশ্যই করণীয়।
- ডেঙ্গু রোগ প্রতিকারে জ্বর কমানোর জন্য ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর পর প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ রোগীকে খেতে দিতে হবে। এটি ডেঙ্গু জ্বরের করণীয় বিষয়ের মধ্যে আরেকটি।
- অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক রোগী প্রতিদিন চারটি করে ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। এর বেশি গ্রহণ করলে লিভারে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ডেঙ্গু রোগ হওয়ার পরে সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত রোগীকে কোন ভারী কাজ করতে দেওয়া যাবে না।
- ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী যেহেতু শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সাথে রাখতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু জ্বর কমানোর জন্য এসপিরিন বা ব্যথা নাশক ওষুধ না খাওয়ানোই উত্তম।
- ডেঙ্গু রোগ প্রতিকারে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য একটি পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে বারবার পুরো শরীর মুছে দিতে হবে।
- ডেঙ্গু রোগ প্রতিকারে রোগ থাকাকালীন সময়ে বাইরে না বেরোনোই ভালো।
- ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে দিতে হবে। যেমন: ডাবের পানি, লেবুর রস, ফলের রস ইত্যাদি।
এগুলোই হলো মূলত ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার বা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if dengue fever)। ডেঙ্গু রোগের কারণ হলো এডিস মশা। এডিস মশার জন্যই প্রধানত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এডিস মশা সাধারণত ভোরবেলা থেকে মাঝ রাতের মধ্যে কামড়ায়। এডিস মশার এক কামড়েই দেহের সংক্রমণ করতে পারে। তাই আমাদের এডিস মশার কামড় থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি? বা ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় (Prevention of dengue fever) | ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিবেদন | ডেঙ্গু প্রতিরোধ স্লোগান
আলোচনার এ পর্বে আমরা জানবো ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় (Dengue jor protirodhe koronio) কি? ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিবেদন বা ডেঙ্গু প্রতিরোধ স্লোগান সম্পর্কে। এই তিনটি কথা মূলত একটা কথাই নির্দেশ করে সেটা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর এর প্রতিরোধ। বিভিন্ন উপায়ে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায়। নিচে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় কি এ সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
- ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে অনেক লোক সমাগম সম্পন্ন এলাকায় না থাকার চেষ্টা করতে হবে।
- ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং মশা তাড়ানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করা জরুরী।
- ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সবসময় ফুল হাতা শার্ট এবং পায়ে মোজা পরিধান করা যেতে পারে।
- ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে মশা যেন না কামড়ায় সেজন্য জানালায় জাল এবং দরজায় বিশেষ পর্দা ব্যবহার করা উচিত যেন ঘরে মশা প্রবেশ করতে না পারে।
- এডিশ মশা নিধনে ফুলের টব, বিভিন্ন ভাঙ্গা পাত্র ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এগুলোতে পানি জমার ফলে এডিস মশা জন্ম নেয়।
- বাড়ির আশেপাশের জায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনে জমে থাকা পানিতে ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে।
- পানি জমা হয়ে থাকতে পারে এমন জিনিসপত্র সব সময় উপর করে রাখুন। এতে করে পাত্রে পানি জমবে না ফলে মশা জন্ম নিবে না। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে এটি একটি উপায় হতে পারে।
এগুলো ছিল মূলত ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিবেদন বা ডেঙ্গু প্রতিরোধ স্লোগান। উপরের এই বিষয়গুলো মেনে চললে আশা করা যায় যে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
ডেঙ্গু রোগের ঔষধ (Dengue medicine) | ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা (Dengue treatment) | ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
এখন আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ডেঙ্গু রোগের ওষুধ (Dengue medicine), ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা (Dengue treatment) বা ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এইসব বিষয় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু রোগের ওষুধ কি? বা ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এই বিষয়গুলো। ডেঙ্গু রোগের ওষুধ প্রধানত প্যারাসিটামল । তাছাড়া শরীর যখন অতি দুর্বল হয়ে পড়ে তখন স্যালাইন দিতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসা বিজ্ঞানী কিছু ডেঙ্গু রোগীর উপর গবেষণা করে একটি ওষুধ তৈরি করেছেন। ওষুধটি হলো অ্যালট্রোমবোপাগ ।
যার ব্যবহারের ফলে ডেঙ্গু রোগীর উন্নতি হয়েছে। ওষুধটি ২৫ মিলিগ্রাম করে ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার আসি ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ব্যাপারে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে প্যারাসিটামল ওষুধ দিয়ে। পাশাপাশি রোগীকে কয়েকদিন তিন লিটার পানি পান করাতে হবে। প্রয়োজন বোধে স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। এভাবে ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। এবার আসা যাক ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এ ব্যাপারে? প্রধানত চিকিৎসকরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পুষ্টিকর খাবার গুলো তালিকার মধ্যে কমলা, ডালিম, ডাবের পানি, পেঁপে সহ বিভিন্ন টাটকা সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে খেতে দিতে হবে। তাছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন: খিচুড়ি, পায়েস, দই ,মাছ ,মাংস ,পনির, ঘি ,দুগ্ধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী খুব তাড়াতাড়ি তার শরীরের শক্তি ফিরে পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে। তো এতক্ষণ নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে কি খেতে দিতে হবে।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় (What to do if dengue fever) ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ (Symptoms of dengue fever) সহ ডেঙ্গু জ্বরের কারণ ও প্রতিকার, ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে কি করবেন? ডেঙ্গু জ্বরের খাবার তালিকা অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে ইত্যাদি বিষয়সহ ডেঙ্গু জ্বর সংক্রান্ত আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আলোচনাগুলো খুব সহজ ভাষায় করার চেষ্টা করেছি।
যাতে করে একজন পাঠক হিসেবে আপনি সকল বিষয়ে ভালোমতো বুঝতে পারেন। এরপরও যদি আপনার কোথাও বুঝতে অসুবিধা থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমি যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আর ডেঙ্গু জ্বর সংক্রান্ত এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি এতটুকুও উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
তাদেরকেও সচেতন করার লক্ষ্যে বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে। আর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপডেট তথ্য সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন। আমি যথাসাধ্য সঠিক তথ্য এবং আপডেট খবর নিয়ে আসার চেষ্টা করব আপনাদের জন্য। তো আর কথা না বাড়িয়ে আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করছি। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;
comment url