সবচেয়ে দামি ঘড়ির ১৩টি ব্র্যান্ড - রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ আপডেট তথ্য
সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড এবং রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ এ বিষয় নিয়ে
আমাদের জানার আগ্রহের শেষ নেই। সাথে সাথে রোলেক্স ঘড়ির দাম বেশি কেন? এই প্রশ্ন
অনেকে করে থাকেন। আজকে আমরা সবচেয়ে দামি ঘড়ি ব্র্যান্ড এবং রোলেক্স ঘড়ির দাম
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তাই দেরি না করে চলুন সবচেয়ে দামি ঘড়ি
ব্র্যান্ড এবং রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে নিই।
যারা বিলাসবহুল জীবন এবং বিলাসবহুল জিনিসপত্র পছন্দ করে তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা দামি ঘড়ি পছন্দ করেন তাদের জন্য
এই আর্টিকেলটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আর্টিকেলে আমি আজকে সবচেয়ে দামি
ঘড়ি সম্পর্কে আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড - রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ
ভূমিকা | সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড - রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি যে বিষয়টি জানতে পারবেন সেটি হচ্ছে সবচেয়ে দামি ঘড়ির
ব্র্যান্ড এবং রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি আরো জানতে পারবেন
অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চেনার উপায় রোলেক্স ঘড়ির দাম বেশি কেন? এবং বাংলাদেশে
রোলেক্স ঘড়ির শোরুম সহ আরো দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিষয়টি যারা ঘড়িপ্রেমী তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে এই আর্টিকেলটি। কারণ এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি সকল দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কাজেই, এ সকল বিষয় জানতে হলে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। চলুন
মূল আলোচনায় ফিরে যায়।
অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চেনার উপায়
এখন আমরা অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আমরা
অনেকেই রোলেক্স ঘড়ির নাম শুনেছি। রোলেক্স ঘড়ি মানেই যে বিলাসিতার প্রতীক তা আর
বলার অপেক্ষা রাখে না। পৃথিবীর সর্বোচ্চ অন্যতম দামি ঘড়ি হচ্ছে রোলেক্স
ব্র্যান্ড। যেহেতু রোলেক্স পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ঘড়ি। তাই একে কপি করে হুবহু একই
রকম দেখতে অনেক ঘড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এতে আমরা যাতে প্রতারিত না হয় সেজন্য
অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চেনার উপায় সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন। অরিজিনাল
রোলেক্স ঘড়ি চেনার উপায় নিম্নরূপঃ
- অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ির ফিনিশিং অত্যন্ত নিখুঁত হয়ে থাকে। ঘড়ি কেনার সময় খেয়াল করবেন ঘড়ির নামের বানান ঠিক আছে নাকি? কিংবা লেখা অস্পষ্ট আছে নাকি? এগুলো দেখলে মনে করবেন এটি আসল রোলেক্স ঘড়ি নয়।
- অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চেনার আরেকটি আরেকটি উপায় হল ঘড়িটির মুভমেন্ট। অর্থাৎ অরজিনাল রোলেক্স ঘড়ি স্বয়ংক্রিয় ক্ষমতা সম্পন্ন। এতে কোন ব্যাটারির প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এটি হাতের নাড়াচাড়ার মাধ্যমেই শক্তি সঞ্চয় করে। এই বৈশিষ্ট্য গুলি যদি একটি ঘড়ির মধ্যে না থাকে তাহলে সেটি আসল রোলেক্স নয়।
- আবার আসল রোলেক্স ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা মসৃণ ভাবে চলতে থাকবে। কিন্তু নকল ঘড়ির কাঁটা গুলো দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন এগুলো শব্দ করে চলবে। এই বৈশিষ্ট্যটি দেখেও আপনি আসল রোলেক্স ঘড়ি সনাক্ত করতে পারেন।
- আবার রোলেক্স ঘড়ির একটি ইউনিক সিরিয়াল নম্বর থাকে যেটা অন্য কোন ঘড়ির সঙ্গে মিলবে না। এই বিষয়টি লক্ষ্য করেও আপনি আসল রোলেক্স ঘড়ি সনাক্ত করতে পারেন।
এতক্ষণ আপনাদের সাথে অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চেনার উপায় নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা
করি এখন আপনি অরিজিনাল রোলেক্স ঘড়ি চিনতে পারবেন।
রোলেক্স ঘড়ির দাম বেশি কেন
রোলেক্স ঘড়ির দাম বেশি কেন? এটা আমাদের সকলেরই প্রশ্ন। আগেই বলে রাখি, রোলেক্স
পৃথিবীর দামি ঘড়ি গুলোর মধ্যে অন্যতম। রোলেক্স ঘড়ির সব নান্দনিক ডিজাইন এবং
দুর্দান্ত ফিচারের জন্য ঘড়ি প্রেমীদের আকর্ষণ করে থাকে। রোলেক্স ঘড়িতে যে
ফিচারগুলো দেওয়া হয় সেটা অন্য কোন ঘড়িতে কল্পনাও করা সম্ভব না। এজন্য রোলেক্স
ঘড়ির দাম অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। রোলেক্স ঘড়ির নান্দনিক সব কারু কাজ এবং
মনমুগ্ধকর ব্রেসলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রোলেক্স ঘড়িতে যে কারু কাজগুলো করা
হয়ে থাকে সেগুলো সম্পূর্ণ হাতে করা হয়। এর জন্য যেমন প্রচুর সময় ব্যয় করতে
হয় তেমনি কাজগুলো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা হয়ে থাকে। যার জন্য রোলেক্স ঘড়ির দাম
অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। এটা গেল রোলেক্সের বাহ্যিক লুকের কথা।
এবার আসা যাক রোলেক্সের ফিচার নিয়ে। রোলেক্স ঘড়িতে কোন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়
না। তাহলে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে রোলেক্স ঘড়িটি চলে কিভাবে? হ্যাঁ, ঠিক তাই।
রোলেক্স ঘড়ি কাজ করে মানুষের হাতের মুভমেন্টের দ্বারা। অর্থাৎ মানুষের হাত
নড়াচড়ার মাধ্যমে রোলেক্স ঘড়ি সঞ্চয় করে এবং এর মাধ্যমে রোলেক্স ঘড়ি পরিচালিত
হয়। এটা রোলেক্স ব্যতীত আর কোন ঘড়িতে আপনি পাবেন না। এত সব ইউনিক ফিচারের জন্য
রোলেক্স ঘড়ির দাম অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। আবার রোলেক্স ঘড়িতে সেকেন্ডের কাঁটা
খুবই মসৃণ ভাবে চলে। যেটা অন্য কোন ঘড়িতে রোলেক্সের মত হয় না। কাজেই, রোলেক্স
এর নান্দনিক সব ডিজাইন এবং ইউনিক ফিচারের জন্য রোলেক্স ঘড়ির দাম এত বেশি হয়ে
থাকে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ
রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ এই বিষয়ে এবার জানা যাক। বর্তমান সময়ে ঘড়ি শুধু
টাইম দেখার জন্য ব্যবহার করা হয় না। এটি হাতের মানান এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
আর ঘড়িটি যদি হয় ব্র্যান্ডের তাহলে তো কোন কথাই নেই। রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে আমাদের
জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। একটি রোলেক্স ঘড়ি সর্বনিম্ন দামে একটু ভালো মানের কিনতে
হলেও আপনাকে বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা গুনতে হবে। এই ঘড়িটি মূলত
সুইজারল্যান্ডের ভেরিয়েন্ট। এটি রোলেক্স ঘড়ির সর্বনিম্ন দাম। তাহলে ভেবে দেখুন
রোলেক্স ঘড়ির সর্বনিম্ন দাম যদি এমন হয় তাহলে রোলেক্সের উচ্চমানের ঘড়ির দাম
কিরকম হতে পারে।
বলে রাখি, রোলেক্সের উচ্চমানের ঘড়ির দাম বাংলাদেশি টাকায় কোটি কোটি টাকার উপরে
হয়ে থাকে। যেটা সাধারণ জনবলের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আবার বাংলাদেশে
রোলেক্স ঘড়ি সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে। কাজেই, বুঝতেই পারছেন রোলেক্স ঘড়ি কতটা দামী হয়ে থাকে। এতক্ষণ আপনাদের
রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ এই বিষয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি, এখন
রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড
সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব আর এটিই আজকে আমাদের
আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড এর কথা বললে
রোলেক্সের নাম যে প্রথমেই থাকবে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পৃথিবীর সবচেয়ে
দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি তৈরি করে থাকে রোলেক্স। একটি সুইচ রোলেক্স ঘড়ির দাম কোটি
কোটি টাকা হয়ে থাকে। রোলেক্স ঘড়ির এত দামের পিছনে রয়েছে তাদের আভিজাত্যের
ছোঁয়া। একটি সুইচ রোলেক্স ঘড়ি ক্রয় করতে হলে আপনাকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে
হবে। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড হচ্ছে রোলেক্স।
রোলেক্স ঘড়ি যেমন দামি তেমনি এই ঘড়িতে রয়েছে দুর্দান্ত সব ফিচার এবং মনমুগ্ধকর
ডিজাইন। যেই ডিজাইনগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা হয়ে থাকে। এরকম ডিজাইন শুধু
আপনি রোলেক্স ঘড়িতেই দেখতে পাবেন। সূক্ষ্মতার বিচারে রোলেক্সকে টক্কর দিতে কেউ
পারবেনা। গুণগত মানের দিক থেকেও রোলেক্স ঘড়ি অন্য সবার থেকে এগিয়ে। আর এতসব
বৈশিষ্ট্যের জন্যই রোলেক্স পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড। রোলেক্স যেমন
শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে ঠিক তেমনি আরো দামী ব্র্যান্ডের ঘড়িও রয়েছে। যেগুলো
সম্পর্কেও আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই চলুন সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ডের
একটি তালিকা দেখে নিই। দামি ব্রান্ডের ঘড়ির তালিকা নিম্নরূপঃ
- রোলেক্স
- ওমেগা এসএ
- টাইম জোন
- প্যাটেক ফিলিপ এসএ
- অডিমার্স পিগুয়েট এসএ
- টিসো
- এম্পোরিও আরমানি
- কারটিয়ের
- ফসিল
- ফাস্ট ট্র্যাক
- ডিজাস্টার
- ক্যালিভন ক্লেন
- মাইকেল কোর্স
এতক্ষণ আপনাদের সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দিলাম। পাশাপাশি আরও
এক্সপেনসিভ ঘড়িগুলোর নাম উল্লেখ করলাম। আশা করি এখন আপনি ঘড়ির দামি
ব্র্যান্ডগুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
সবচেয়ে দামি ঘড়ি নিয়ে এক কথায় কিছু উত্তর
বাংলাদেশে রোলেক্স ঘড়ির শোরুমঃ বাংলাদেশে রোলেক্স ঘড়ির শোরুম
বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স ঢাকায় রয়েছে। আপনি চাইলে সেখান থেকে রোলেক্স ঘড়ি
কিনতে পারেন।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড - রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ড এবং
রোলেক্স ঘড়ির দাম বাংলাদেশ সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি
সবগুলো বিষয় বুঝতে পেরেছেন। কোন বিষয়ে যদি আপনার বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে
অবশ্যই আমাকে জানাতে পারেন। আমি আপনার সমস্যার যথাযথ সমাধানের চেষ্টা করব
ইনশাল্লাহ। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটু উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। কারণ অরিজিনাল পণ্য চেনা থেকে শুরু করে দামি
ঘড়ির দাম সম্পর্কে ধারণা রাখা আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা নাহলে
ঠকে যেতে পারি।
এরকম বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট খবর সব সময় সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনি অনেক বিষয়ে জ্ঞান লাভ করবেন ইনশাল্লাহ। তাহলে
আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি।
কথা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ
থাকবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সুস্থতার সঙ্গে বসবাস করতে পারি।
এতক্ষন সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।
Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;
comment url