অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার ৮টি নিয়ম - চাকরির দরখাস্ত লেখার ১০টি নিয়ম

অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সাথে সাথে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ। তাই চলুন দেরি না করে অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।
চাকরির-দরখাস্ত-লেখার-নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা, আমাদের প্রত্যাহিত কোন না কোন কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়েই। তাই বিভিন্ন বিষয়ের দরখাস্ত লেখা শিখতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম - চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

ভূমিকা | অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম - চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। এর পাশাপাশি আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম, ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত লেখার নিয়ম, অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন, অফিসের ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম, চাকরিতে অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদনসহ সকল ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। 

কাজেই, এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই প্রয়োজন। কারণ আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। সেক্ষেত্রে যদি আমাদের দরখাস্ত লেখার নিয়মটি জানা থাকে তাহলে আর বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। কিংবা অন্য কারো থেকে দরখাস্ত লিখে নিতে হবে না। তাই আমাদের সকলেরই দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানা থাকা প্রয়োজন। আর এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি সকল ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এই আর্টিকেলে সকল প্রকার দরখাস্ত লেখার নিয়ম খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যাতে করে একজন পাঠক খুব সহজেই বুঝতে পারে। এতসব বিষয়ে আপনি তখনই জানতে পারবেন যখন এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আলোচনায় ফিরে যায়।

প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আলোচনার শুরুতেই প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারণ আমাদের জীবনযাত্রা স্কুল জীবন থেকে শুরু হয়। তাহলে প্রথমে আমাদের প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে হবে। কিভাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লিখবেন এটা এখন আপনাদের জানাবো। দরখাস্তের প্রথমেই তারিখ দিয়ে শুরু করতে হয়। 

তারপর বরাবর লিখে নিচে লিখবেন প্রধান শিক্ষক। তারপর আপনার বিদ্যালয়ের নাম দিবেন। তারপর আপনার উপজেলা এবং জেলা উল্লেখ করলে ভালো হয়। এরপর প্রধান শিক্ষকের কাছে কি বিষয়ে দরখাস্ত লিখছেন তা উল্লেখ করতে হবে বিষয়ের মাধ্যমে। তারপর স্যার বা ম্যাডাম অথবা জনাব দিয়ে দরখাস্তের বডি লেখা শুরু করতে হবে।
এখানে কোন বিষয়ে আবেদন করছেন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা থাকবে। তারপর ব্যাখ্যা করা হয়ে গেলে নিচে লিখবেন নিবেদক। অর্থাৎ, আপনার পুরো নাম সুন্দর ভাবে লিখবেন। কোন ক্লাসে পড়েন তাও উল্লেখ করবেন এবং পরিশেষে আপনার সিগনেচার এর মাধ্যমে দরখাস্তটি শেষ করবেন। 

এভাবে একটি দরখাস্ত লিখলে দরখাস্তটি খুবই সুন্দর এবং মানানসই দেখায়। চেষ্টা করবেন দুই পাশের লেখাগুলো যেন সমান হয়। অর্থাৎ জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট বজায় থাকে। এতে লেখাগুলো দেখতে আরো সুন্দর লাগবে। আশা করি এখন প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা পেয়েছেন।

চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমাদের জানা প্রয়োজন। কারণ আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন করি। আর সঠিকভাবে যদি দরখাস্তই না লিখতে পারি তাহলে চাকরি কোথা থেকে হবে। কাজেই আমাদের আগে সঠিকভাবে দরখাস্ত লিখতে জানতে হবে। কোন ফর্মুলায় চাকরির দরখাস্ত লিখলে সেটি দেখতে সুন্দর হবে এবং ইউনিক বা অন্যদের থেকে আলাদা হবে এই ফর্মুলাটি আজকে আপনাদের শেখানো হবে।

আপনি যখন চাকরির জন্য আবেদন করেন তখন নিরীক্ষক আগে এই বিষয়টি লক্ষ্য করে যে আপনি আপনার দরখাস্ত কেমন ভাবে লিখেছেন বা কেমন ভাষা ব্যবহার করেছেন অর্থাৎ আপনার আবেদন পত্রের ফরমেটিং কেমন হয়েছে এই বিষয়গুলোই আগে লক্ষ্য করে। এক্ষেত্রে যদি আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকেন তাহলে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাটা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। কাজেই, সুন্দরভাবে আগের দরখাস্ত লেখা শিখতে হবে। তো চলুন চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে এবার জেনে নেওয়া যাক। চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম এখন ভাব অনুযায়ী আলোচনা করব। ধাপগুলো নিম্নরূপঃ
  • চাকরির দরখাস্তের ক্ষেত্রেও প্রথমে যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয় সেটি হচ্ছে তারিখ। শুধু চাকরির নয় সকল দরখাস্তের শুরুতেই তারিখ দেওয়া প্রয়োজন।
  • তারপর আপনি যেখানে চাকরির জন্য আবেদন করছেন তার পূর্ণ ঠিকানা সুন্দরভাবে উল্লেখ করবেন। উল্লেখ্য যে, এই বিষয়টি যেন একদমই ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ আপনি এটিই যদি ভুল করেন তাহলে চাকরিদাতা প্রথমেই আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবেন এবং আপনাকে চাকরিটি নাও দিতে পারেন।
  • তারপর কোন বিষয়ে আবেদন লিখছেন বা কোন পদে আপনি চাকরির জন্য আবেদন করছেন সেটা অবশ্যই হুবহু একই রকম ভাবে লিখবেন। একটি দরখাস্তের প্রধান বিষয়ই হচ্ছে এটি। কাজেই, বিষয়টি অবশ্যই সুন্দরভাবে হুবহু একই রকম লেখার চেষ্টা করবেন।
  • এরপর যে বিষয়টি আসে সেটি হচ্ছে একটি দরখাস্তের বডি। দরখাস্তের শুরুতেই অত্যন্ত নম্রতা এবং ভদ্রতার সঙ্গে জনাব বা স্যার দিয়ে শুরু করুন। অতঃপর বিনীত নিবেদন এই যে, অথবা সম্মান-পূর্বক নিবেদন এই যে, কিংবা যথাযথ সম্মানপূর্বক নিবেদন এই যে, এই ভাষা গুলো ব্যবহার করে একটি দরখাস্তের বডি শুরু করুন।
  • দরখাস্তের বডির মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অর্থাৎ এই চাকরির জন্য যে বিষয়গুলো লিখা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলোই লেখার চেষ্টা করুন। আবেদনপত্র খুব বড় করার দরকার নেই। খুব অল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ কথার মাধ্যমে আপনার আবেদন পত্রটির বডি শেষ করুন। উল্লেখ্য যে, দরখাস্তের বডির মধ্যে শুধু চাকরির সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো সেগুলোই যেন থাকে।
  • আপনি যদি এই চাকরির বিজ্ঞাপনটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেখে থাকেন তাহলে কোন তারিখে দেখেছেন এবং কোন পত্রিকায় দেখেছেন সে বিষয়টি অবশ্যই উল্লেখ করবেন। এতে আপনার দরখাস্তের মান বেড়ে যাবে অন্যদের থেকে।
  • দরখাস্তের বডি লেখা শেষ হলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ আপনার সনদপত্র, আপনার নম্বর পত্র, প্রত্যয়ন পত্র এবং নাগরিকত্বের সনদপত্র কিংবা কোন পরীক্ষা কত সালে দিয়েছেন, কোন বোর্ডের অধীনে দিয়েছেন, উক্ত পরীক্ষার ফলাফল এই বিষয়গুলো উল্লেখ করুন। এতে আপনার দরখাস্ত আরো আকর্ষণীয় দেখাবে এবং নিরীক্ষকের মনে খুব সহজেই জায়গা করে নেবে।
  • সম্ভব হলে আপনার আবেদন পত্রের সঙ্গে আপনার জীবন বৃত্তান্ত অর্থাৎ সিভি যুক্ত করুন। এতে আপনার দরখাস্ত অত্যন্ত গুরুত্ব লাভ করবে নিরীক্ষকের কাছে।
  • চাকরির আবেদন পত্রে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে যেন ভুল না হয় সেই দিকে খেয়াল করবেন। প্রয়োজন হলে আপনি দরখাস্ত লেখার পূর্বে যে বিষয়গুলো দেওয়া প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি করবেন। চাকরির আবেদনে কোন বিষয়গুলো দিতে হবে সেটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলে দেওয়াই থাকবে।
  • এগুলো বিষয়গুলো ফলো করলে একটি দরখাস্ত লিখলে এই দরখাস্তটি চাকরির জন্য একদম বেস্ট দরখাস্ত হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলোয় মূলত চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম। আমি আশা করি আপনি এই বিষয়গুলো মেনে যদি একটি চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখেন এবং উক্ত চাকরির জন্য যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি চাকরি পাবেন ইনশাল্লাহ।

অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম

অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি দরখাস্ত লিখে থাকি। আমরা কেউ হাতে দরখাস্ত লিখি আবার কেউ কম্পিউটারে টাইপ করে লিখি। যেভাবে দরখাস্ত লিখি না কেন দরখাস্ত লেখার নিয়ম আগে ভালোভাবে জানতে হবে। কোন বিষয়টি পরে কোনটি রাখতে হবে এগুলো যদি না জানি তাহলে হাতে লিখি আর কম্পিউটারে লিখি দরখাস্তটির গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। মোটকথা, দরখাস্তটি ফরমেটিং করা শেখা আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

একটি দরখাস্ত কিভাবে সাজাবেন এটি অনেকটাই দরখাস্তর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর অফিসিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রে তো কোন কথাই নেই? সুন্দরভাবে আপনার দরখাস্ত দিয়ে না লিখলে কিংবা এলোমেলোভাবে সাজালে দরখাস্ত তো গ্রহণযোগ্য পাবেই না বরং আপনি সকলের কাছে হেও প্রতিপন্ন হবেন। একজন অফিসে চাকরি করে বলে শুধু যে তাকেই দরখাস্ত লেখা শিখতে হবে এমন নয়, আমাদের সকলেরই প্রয়োজন অফিসিয়াল দরখাস্ত কিভাবে লেখে তা শিখে রাখা। তাই চলুন দেরি না করে অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিম্নরূপঃ
  • অফিসিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রেও প্রথমে দরখাস্তের তারিখ লেখা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আপনি কোন তারিখে দরখাস্তটি লিখছেন সেটি দরখাস্তের প্রথমে লিখবেন।
  • তারিখ লেখা শেষ হলে নিচে লিখবেন বরাবর। তারপর একটি কমা (,) চিহ্ন ব্যবহার করবেন। কারণ অফিসিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রে কিন্তু এই খুঁটিনাটি ভুলগুলোই দেখা হয়।
  • তারপর অফিসে যার নিকট দরখাস্ত লিখছেন তাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ অফিসের বস, কিংবা অফিসে চেয়ারম্যান, অফিসের এমডি অথবা প্রতিষ্ঠানের সিইও ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
  • তারপর আপনি কোন বিষয়ে অফিসে দরখাস্ত লিখছেন সেটি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে। কারণ দরখাস্তের বিষয় যদি ঠিক না থাকে তাহলে দরখাস্ত লেখা না লেখা সমান কথা। কারণ কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে হবে আপনি কোন বিষয়ে দরখাস্তটি লিখেছেন। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দরখাস্তের ক্ষেত্রে।
  • তারপর অত্যন্ত নম্র এবং ভদ্রতার সাথে জনাব বা স্যার ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করে একটি অফিসিয়াল দরখাস্তের বডি শুরু করতে হবে। দরখাস্তের বডির মধ্যে আপনি যে বিষয়ে দরখাস্তটি লিখছেন তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে অফিসের কর্তৃপক্ষ সেটি দেখে ভালোমতো বুঝতে পারে আপনি দরখাস্তে কোন বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন।
  • দরখাস্তের বডি যদি সঠিকভাবে না লিখতে পারেন কিংবা আপনার দরখাস্তের বিষয়টি ভালোভাবে ব্যক্ত করতে না পারেন তাহলে কিন্তু দরখাস্তের কোন মাল থাকবে না। একটি অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
  • দরখাস্তের বডি ঠিকঠাক ভাবে লেখা হলে নিচে নিবেদক লিখে আপনার নামসহ পূর্ণ ঠিকানা এবং কোন পদে চাকরি করেন সব বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। এতে করে অফিসের কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারবে এবং আপনাকে চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। এটি লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিশিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রে।
  • অতঃপর নিজের সিগনেচার এর মাধ্যমে দরখাস্তটি শেষ করতে হবে।
এভাবে একটি দরখাস্ত লিখলে দরখাস্তটি অফিসিয়াল দরখাস্তের আওতাভুক্ত হয়। পাশাপাশি দরখাস্তটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং মানানসই দেখায়। উপরোক্ত নিয়ম ফলো করে একটি দরখাস্ত লিখলে আপনার দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। উপরে বর্ণিত নিয়মই হলো অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম। আশা করি কিভাবে অফিসিয়াল দরখাস্ত লিখতে হয় এ বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে এক কথায় কিছু উত্তর

ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত লেখার নিয়মঃ উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী দরখাস্তটি ফরমেটিং করে শুধু দরখাস্তের বিষয়টি হবে ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত লেখা। সকল ফরমেটিং ঠিক রেখে আপনি দরখাস্তটি লিখতে পারেন। এটি হল ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত লেখার নিয়ম।

অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদনঃ প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার জন্য নিয়মটি বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন এই দরখাস্তটিও লেখা যায়। সকল কিছু ঠিক রেখে শুধু বিষয়ে অগ্রিম ছুটি চেয়ে দরখাস্ত এটি লিখে দিলেই হয়ে যাবে।

অফিসে ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়মঃ অফিসে ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে আপনি অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়মটি ফলো করতে পারেন। এখানে শুধু বিষয়টি পরিবর্তন করে দেবেন। পাশাপাশি এই নিয়মটি ফলো করে অফিসে অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন এই দরখাস্তটিও লিখা যায়। আবার কোম্পানির ছুটির জন্য আবেদন এটিও অফিসিয়াল দরখাস্তের নিয়মের মধ্যে পড়ে।

চাকরিতে অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদনঃ চাকরিতে অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন এই বিষয়টি চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়মের মধ্যে পড়ে। দরখাস্ত লেখার আবেদন সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে ছুটির জন্য আবেদন বা যেকোনো অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন যেমন: পারিবারিক সমস্যার জন্য ছুটির আবেদন ইত্যাদি বিষয় গুলো এর আওতাভুক্ত। লক্ষণীয় যে, প্রতিবার শুধু দরখাস্তের বিষয়টি পরিবর্তন হবে আর বাকিগুলো সব একই থাকবে এবং দরখাস্তের বডির মধ্যে এসে উক্ত বিষয়ের বর্ণনা দিতে হবে।

এখন আশা করি আপনার আর কোন বিষয়ে দরখাস্ত লিখতে সমস্যা হবে না। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যেকোন দরখাস্ত খুব সুন্দর ভাবে লিখতে পারবেন। এই আর্টিকেলে সব রকমের দরখাস্ত লেখার নিয়ম সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা আপনারা উপরে পড়ে এসেছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম - চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়মের সাথে দরখাস্ত লেখার সব ধরনের নিয়ম খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি। আমি আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে সব ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর পরেও যদি কোন বিষয়ে আপনার জানতে অথবা বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই আমাক জানাবেন। 

আমি যথাযথভাবে চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার সামান্য পরিমাণও উপকার হয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করে তাদেরও দরখাস্ত লেখা শেখার জন্য আগ্রহী করে তুলুন। আর পড়াশোনা সহ টেক দুনিয়া এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের সব আপডেট খবর সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাপোর্ট দিন। 

যাতে করে আমি উৎসাহিত হয়ে আরো নতুন নতুন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। এই ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট এবং সঠিক তথ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি। আবার কথা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারি। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

Share this post with friends

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;

comment url