শব্দ দূষণের ১০টি কারণ - শব্দ দূষণের ৯টি প্রতিকার

শব্দ দূষণের কারণ এবং শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি শব্দ দূষণের কারণ এবং শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সাথে সাথে শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শব্দ দূষণের কারণ এবং শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই।
শব্দ-দূষণের-প্রতিকার
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। কারণ বর্তমান সময়ে শব্দ দূষণের সমস্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শব্দ দূষণের কারণ - শব্দ দূষণের প্রতিকার

ভূমিকা | শব্দ দূষণের কারণ - শব্দ দূষণের প্রতিকার

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো শব্দ দূষণের কারণ এবং শব্দ দূষণের প্রতিকার। এর পাশাপাশি শব্দ দূষণ কি? শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় এবং শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত একটা আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

আর বর্তমান সময়ে শব্দ দূষণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিভাবে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করা যায় এই বিষয় সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে আমি আশা করব আপনি একজন পাঠক হিসেবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং শব্দ দূষণের বিস্তারিত বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

শব্দ দূষণ কি

শব্দ দূষণ কি আমরা এখন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আমরা অনেকেই শব্দ দূষণ সম্পর্কে জানি এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখি না। শব্দ দূষণ বলতে মূলত মানুষের শ্রবণসীমা অতিক্রমকারী কোন আওয়াজকে বোঝানো হয়ে থাকে। রাস্তাঘাটের তীব্র যানজট এবং কলকারখানার তীব্র আওয়াজের জন্য মূলত শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয়। শব্দ দূষণ একটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। মানুষ সাধারণত ২০ হার্জের কম এবং ২০,০০০ হার্জের বেশি শব্দ শুনতে পারেনা। আর শব্দের শ্রবণসীমা এর কম বেশি হলেই তখন তাকে শব্দ দূষণ বলা হয়ে থাকে।
পরিবেশে খুব জোরে জোরে আওয়াজ এবং রাস্তাঘাটে যানজট, গাড়ির হর্ন ইত্যাদির জন্য মূলত শব্দ দূষণ হয়ে থাকে। শব্দ দূষণ মূলত মানুষের কর্মকাণ্ডের জন্যই সৃষ্টি হয়। শব্দ দূষণের অন্যতম মাধ্যম হলো জোরে জোরে মাইক বাজানো এবং উচ্চস্বরে গান বাজানো। জোরে জোরে মাইক এবং উচ্চস্বরে গান বাজানোর ফলে পরিবেশের শব্দ দূষণ হয়। এর ফলে আশেপাশের মানুষ অনেকটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। শব্দ দূষণের কারণে মানুষের মাথাব্যথা থেকে শুরু করে শ্রবণ শক্তি কমতে শুরু করে। যার ফলে রাত্রে ভালো ঘুম হয় না।

কাজেই, বোঝাই যাচ্ছে যে শব্দ দূষণের ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। শুধু নিজের ক্ষতি হয় তা না বরং শব্দ দূষণের ফলে আশেপাশের এলাকা জুড়েও ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রতিবেশীরা শব্দ দূষণের জন্য নানারকম সমস্যায় পড়ে যায়। কাজেই আমাদের সকলের এই শব্দ দূষণ যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে শব্দ দূষণ কি এই সম্পর্কে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করছি এখন এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি শব্দ দূষণ কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায়

শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আমরা অনেকেই শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। কারণ বর্তমান সময়ে শব্দ দূষণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এখন অবশ্যই আমাদের শব্দ দূষণকে প্রতিরোধ করতে হবে। তা না হলে অনেক বড় বিপর্যয় আমাদের ওপর নেমে আসতে পারে। তাহলে চলুন শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই। শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় নিম্নরূপঃ
  • শব্দ দূষণ প্রতিরোধে প্রথমত আমাদের জোরে জোরে মাইক এবং উচ্চস্বরে গান বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি শব্দ দূষণ প্রতিরোধের প্রথম উপায়।
  • রাস্তায় যে গাড়িগুলো অতিরিক্ত শব্দ করে চলে তাদের পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করা যাবে।
  • শব্দ দূষণ প্রতিরোধে আরেকটি ব্যবস্থা হল ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা। যে জায়গাগুলোতে অত্যাধিক শব্দ হয় সেখানে বসবাসকালীন সময়ে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা। এতে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করা যাবে।
  • শিল্প এলাকাগুলোতে কারখানা থেকে প্রচন্ড শব্দ উৎপন্ন হয়। তাই শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাউন্ড প্রুফিং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটিও শব্দ দূষণ প্রতিরোধের একটি উপায় হতে পারে।
  • শব্দের অতিরিক্ত কম্পন এবং উচ্চ আওয়াজ দূর করনের জন্য বাড়ি কিংবা অফিসের আশেপাশে গাছ লাগানো জরুরী। এটিও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।
  • বর্তমান সময়ে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে হেডফোন পাওয়া যায়। কাজেই, অতিরিক্ত শব্দ দূষণ থেকে বাঁচতে আপনি এই শব্দ দূষণ প্রতিরোধী হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন।
  • আবার বাড়ির আশেপাশে রাস্তাঘাটে যানজট এবং গাড়ির হর্ন সহ অতিরিক্ত শব্দ দূষণের জন্য আপনি শব্দ দূষণ প্রতিরোধে দরজা জানালা বন্ধ রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি ডাবল পেন উইন্ডো কিংবা ডোর হয় তাহলে বেশি ভালো হবে।
  • শব্দ দূষণ প্রতিরোধে আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। উচ্চস্বরে গান-বাজনা শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
  • অনেক সময় যানবাহনে পুরাতন যন্ত্রপাতির জন্য অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টি করে। যার ফলে শব্দ দূষণ হয়ে থাকে। তাই যানবাহনে অবশ্যই নতুন জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে শব্দ দূষণ প্রতিরোধের জন্য।
  • শব্দ দূষণ প্রতিরোধে বাড়িতে জোরে জোরে বক্স বাজানো এবং রেডিও টেলিভিশন চালানো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
  • শব্দ দূষণ প্রতিরোধের জন্য আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ হবে।
এগুলোই হল মূলত শব্দ দূষণ প্রতিরোধের উপায়। এতক্ষণ আপনাদের সাথে শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি শব্দ দূষণ প্রতিরোধের ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শব্দ দূষণের প্রতিকার

শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে এখন আমাদের জানতে হবে। আমরা অনেকেই শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। শব্দ দূষণ প্রতিকারে আমরা যে পদক্ষেপ গুলো নিতে পারি সেই সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই। শব্দ দূষণের প্রতিকার গুলো নিম্নরূপঃ
  • শব্দ দূষণের প্রতিকার এ আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হলো উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া।
  • যে গাড়িগুলো পুরনো হয়ে গেছে অর্থাৎ অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টি করে এগুলোর ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে শব্দ দূষণ প্রতিকারের জন্য।
  • আবার শব্দ দূষণ প্রতিকারে আমাদের আশেপাশের উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী জিনিসগুলো ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • অনেক জায়গায় বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। এতে অনেক শব্দ দূষণ হয়। এর পরিবর্তে সোলার ব্যাটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শব্দ দূষণ প্রতিকারে একটি পদক্ষেপ হতে পারে।
  • রাস্তাঘাটে যানজটের জন্য বেশি শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয়। শব্দ দূষণ প্রতিকারে রাস্তায় যেন যানজট না সৃষ্টি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • আবার শব্দ দূষণ প্রতিকারের জন্য ট্রাফিক আইনের ব্যবহার কঠোর এবং যথাযথ করতে হবে। ট্রাফিক আইন কঠোর করলে শব্দ দূষণ প্রতিকার করা সম্ভব হবে।
  • আবার ট্রাফিক আইন প্রতিকারে রাস্তায় যারা অকারণে হর্ণ দেয় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এটিও শব্দ দূষণের প্রতিকার এর একটি উদ্যোগ হতে পারে।
  • শব্দ দূষণ প্রতিকারে সরকারিভাবে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে খুব তাড়াতাড়ি শব্দ দূষণ প্রতিকার করা সম্ভব হবে।
  • আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, শব্দ দূষণ প্রতিকারে আমাদের প্রত্যেকেরই সহযোগিতা প্রয়োজন। তা না হলে শব্দ দূষণ প্রতিকার করা সম্ভব হবে না।
এগুলোই হলো মূলত শব্দ দূষণের প্রতিকার। বিষয়গুলো মেনে চললে শব্দ দূষণ প্রতিকার করা সম্ভব হবে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শব্দ দূষণের কারণ

শব্দ দূষণের কারণ সম্পর্কে এখন আমাদের জানতে হবে। আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে শব্দ দূষণের কারণ। আমরা অনেকেই শব্দ দূষণের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি শব্দ দূষণের কারণ অর্থাৎ কি কি কারণে শব্দ দূষণ হয়ে থাকে এই বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শব্দ দূষণের কারণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। শব্দ দূষণের কারণগুলো নিম্নরূপঃ
  • শব্দ দূষণের প্রধান কারণ হলো রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত গাড়ির চলাচলের ফলে যানজটের সৃষ্টি হওয়া।
  • কারণে-অকারণে রাস্তাঘাটে হর্ন বাজানোর ফলেও শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটিও শব্দ দূষণের একটি কারণ।
  • রাস্তাঘাটে অনেক সময় ট্রাফিক জ্যাম দেখা যায় যার ফলে শব্দ দূষণের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • আবার অনেক বিয়ে বাড়ি কিংবা কোন পার্টিতে উচ্চস্বরে বিভিন্ন গানবাজনার অনুষ্ঠান করা হয়। এতেও শব্দ দূষণের সৃষ্টি হয়। যা শব্দ দূষণের প্রধান কারণ।
  • আবার রেলগাড়ির শব্দ এবং আকাশে এরোপ্লেনের শব্দের জন্যও শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটিও শব্দ দূষণের একটি কারণ হতে পারে।
  • কল কারখানায় ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির তীব্র শব্দের জন্য শব্দ দূষণ হয়। এটাও শব্দ দূষণের অন্যতম একটি কারণ।
  • বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ব্যান্ড পার্টিকে গান-বাজনা করতে দেখা যায়। যার তীব্র শব্দের জন্য শব্দ দূষণ হতে পারে।
  • আবার প্রাকৃতিকভাবেও শব্দ দূষণ হতে পারে। যেমন যখন আকাশে বজ্রপাত সৃষ্টি হয় তখন তার তীব্র শব্দে শব্দ দূষণ ঘটতে পারে।
  • তাছাড়া রাস্তায় বিভিন্ন মিছিল, ধর্মঘট, জনসভা এবং বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার কাজে মানুষ যখন একত্র হয়ে অনেক জোরে জোরে আওয়াজ করে তখন শব্দ দূষণ ঘটতে পারে।
  • বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ এবং অটোমোবাইল শিল্প কারখানার বিভিন্ন সরঞ্জামের দ্বারা যে শব্দ সৃষ্টি হয় এতেও শব্দ দূষণের নজির রয়েছে।
এগুলোই হল মূলত শব্দ দূষণের কারণ। এতক্ষণ আমি আপনাদের সাথে শব্দ দূষণের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের শব্দ দূষণের কারণ সম্পর্কে জানাতে সক্ষম হয়েছি।

শব্দ দূষণের প্রভাব

শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। শব্দ দূষণের প্রভাব মানব জীবনে লক্ষ্য করা যায়। শব্দ দূষণের ফলে মানব জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়ে যায়। শব্দ দূষণের প্রভাব মানব জীবনে পড়ে যার ফলে দুশ্চিন্তা এবং মানসিক টেনশন সবসময় লেগেই থাকে। বিশেষ করে যারা কারণে অকারনে চিন্তা করেন তাদের উপর শব্দ দূষণের প্রভাব রয়েছে। আবার যারা যারা উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন রোগী তাদের জন্য শব্দ দূষণ প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।

কারণ শব্দ দূষণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ আরো বেড়ে যায়। যার প্রভাবে রোগীটি মারা যেতে পারে।
আবার শব্দ দূষণের প্রভাবে মানুষের শ্রবণ শক্তি কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে যে, শব্দ দূষণের প্রভাব মানব জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। মানসিক অবসাদ থেকে শুরু করে উগ্রতা নানা ধরনের বদ অভ্যাস মূলত শব্দ দূষণের ফলেই ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে জন্ম নেয়। কাজেই, এই বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আশা করছি মানব জীবনের শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | শব্দ দূষণের কারণ - শব্দ দূষণের প্রতিকার

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শব্দ দূষণের কারণ এবং শব্দ দূষণের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি মনে হয় এতটুকুও উপকার হয়েছে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। 

কারণ শব্দ দূষণের এই ব্যাপারটি প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। আর এরকম নিত্যনতুন সব আপডেট খবর সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করুন। আমি চেষ্টা করি সব সময় আপডেট খবর আপনাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। 

পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন যেন মহান আল্লাহ আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

Share this post with friends

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;

comment url