মাছ চাষের আধুনিক ১৩টি পদ্ধতি - যে ১১টি মাছ চাষে লাভ বেশি

মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি এবং কোন মাছ চাষে লাভ বেশি এটি আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয়। পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি সম্পর্কেও আপনাদের একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। মাছ চাষ বর্তমানে একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি এবং কোন মাছ চাষে লাভ বেশি এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আর দেরি না করে চলুন মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি এবং কোন মাছ চাষে লাভ বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
কোন-মাছ-চাষে-লাভ-বেশি
কোন মাছ চাষে বেশি লাভ হয় এবং মাছ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই মাছ চাষ সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা করবেন বলে আমি মনে করছি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি - কোন মাছ চাষে লাভ বেশি

ভূমিকা | মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি - কোন মাছ চাষে লাভ বেশি

আজকের আর্টিকেলের আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি বা কোন মাছ চাষে বেশি লাভ হয়। পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি, মাছ চাষের উপযুক্ত সময় সহ মাছ চাষের আর যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই, আপনি যদি মাছ চাষ শুরু করতে চান কিংবা যদি আপনার একটি মাছ চাষের পুকুর থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেটা একজন মৎস্য চাষী হিসেবে আপনার জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। মাছ চাষ বর্তমানে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। 

কিন্তু মাছ চাষ করে সকলেই সফলতা অর্জন করতে পারেনা। কিছু কলাকৌশল অবলম্বন করে মাছ চাষ করলে আপনিও অবশ্যই সফল হতে পারবেন। এই সকল কিছু এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পাবেন। তাহলে এতসব বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়তে হবে। আশা করব আপনি একজন সুপ্রিয় পাঠক হিসেবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং মাছ চাষের গভীর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যায়।

মাছ চাষের উপযুক্ত সময়

মাছ চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে ধারণা রাখা মাছ চাষের প্রথম ধাপ। মাছ চাষ বর্তমানে খুবই লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত মাছ চাষের উপযুক্ত কোন সময় নেই। সবসময়ই মাছ চাষ করা সম্ভব। যেহেতু আমরা মাসে ভাতে বাঙালি তাই আমাদের মাছের চাহিদা অত্যাধিক বেশি। আর মাছ চাষ সবসময় করা যায়।
মাছ চাষে বাধা ধরা কোন সময় নেই। তবে চৈত্র মাসের শেষে কৃষি কাজ সহ সকল কাজের উপযুক্ত সময় হয়ে থাকে। আপনি চাইলে চৈত্র মাসে মাছ চাষ শুরু করতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য মাসে করলেও কোনো সমস্যা নেই। চৈত্র মাসে আতুর পুকুরে রুই মাছের পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় আপনাকে রুই মাছের পোনা ছাড়ার জন্য আতুর পুকুর তৈরি করতে হবে।

তার জন্য পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং পুকুরের তলা থেকে কাদা গুলো তুলে ফেলতে হবে। তারপর কুকুরকে শুকিয়ে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে পুকুর তৈরি করে আপনি রুই মাছের পোনা সহ অন্যান্য মাছ চাষ করতে পারেন। মোটামুটি ভাবে এটা মাছ চাষের উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হয়। তাছাড়া আপনি সারা বছরও মাছ চাষের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। আশা করি মাছ চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মাছ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে আগে মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি এই সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ যেই পরিবেশে মাছ বড় হবে সেই পরিবেশ অর্থাৎ পুকুর মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত হতে হবে। আর এই মাছ চাষের জন্য পুকুর উপযুক্ত করতে হলে আপনাকে পুকুরটাকে ভালো করে প্রস্তুত করতে হবে। নতুন পুকুর প্রস্তুতি সহ পুকুর প্রস্তুতির বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করে আপনি একটি পুকুরকে মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত করবেন।

আপনি যদি মাছ চাষের জন্য ভালোভাবে পুকুর প্রস্তুত না করেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ভাল ফায়দা অর্জন করতে পারবেন না। পরবর্তীতে পুকুর প্রস্তুত না থাকার কারণে মাটি থেকে গ্যাস করে মাছগুলো মারা যেতে পারে। এতে আপনার বিশাল অংকের টাকার ক্ষতি হতে পারে। তাই আতুর পুকুর প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনে এবং পুকুর প্রস্তুতির ধাপগুলো সম্পর্কে জেনে আপনি মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুত করতে পারেন। তাই চলুন আতুর পুকুর প্রস্তুতি বা পুকুর প্রস্তুতির ধাপ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যেটা ভালো মানের মাছ চাষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুকুর প্রস্তুতির ধাপগুলো নিম্নরূপঃ
  • মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হচ্ছে পুকুরের আশেপাশে যত আগাছা, লতা পাতা, বিভিন্ন গাছের শিকড় ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। এটা আতুর পুকুর প্রস্তুতির ধাপ।
  • পুকুরের পাড়ে যাতে অবাঞ্চিত কোন গাছপালা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তার কারণ হলো গাছের পাতাগুলো পানিতে পড়ে পচে গিয়ে মাছের সমস্যা হতে পারে।
  • পুকুরে পানি প্রবেশের আগে অন্তত এক সপ্তাহ পুকুরকে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানোর পরে জৈব সার পুরো পুকুর জুড়ে ছিটাতে হবে। এটা পুকুর প্রস্তুতি সার প্রয়োগ প্রক্রিয়া।
  • পুকুরে কোন ক্ষতিকারক পোকামাকড় থাকলে সেগুলো মেরে ফেলতে হবে। তা না হলে মাছের ক্ষতি হতে পারে।
  • মাছ ছাড়ার পরে পুকুরে রাক্ষসে মাছ না রাখাই ভালো এগুলো অন্যান্য মাছের জন্য ক্ষতিকর। রাক্ষুসে মাছগুলো পুকুরে থাকলে তারা পোনা মাছগুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে।
  • মাটি এবং পানির বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দিয়ে পানি পরিষ্কার করার জন্য পানিতে নিয়মিত চুন প্রয়োগ করতে হবে। এটা মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতির অন্যতম একটি ধাপ।
  • পুকুর প্রস্তুতির সময় খেয়াল রাখবেন পুকুরের তলা যাতে সমান হয়। এটি মাছের চলাফেরা এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এই ছিল মোটামুটি পুকুর প্রস্তুতির ধাপগুলো। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো ফলো করে আপনি মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতির ধাপগুলো সম্পন্ন করতে পারেন। তো আশা করি নিশ্চয়ই এখন পুকুর প্রস্তুতির বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

কোন মাছ চাষে লাভ বেশি

কোন মাছ চাষে লাভ বেশি হয় এটি আজকে আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়।কোন মাছ চাষে বেশি লাভ হয় এটা আমাদের প্রত্যেকের মনেই প্রশ্ন জেগে থাকে। বিশেষ করে যারা মাছ চাষ করেন। মাছ চাষ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মাছের দামও অত্যন্ত ভালো রয়েছে। যেটা মৎস্য চাষীদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। বিভিন্ন জাতের মাছ রয়েছে। কম খরচে মাছ চাষ বা ছোট পুকুরে মাছ চাষও করা যায়। 

এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় শতক প্রতি মাছ ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে। আপনি কৃষি কর্মকর্তা অথবা সফল মৎস্য চাষীর পরামর্শ ক্রমে আপনার পুকুরে শতক অনুযায়ী কতটুকু মাছ প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে নিবেন।
আর এখানে কোন প্রজাতির মাছ চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক হবে সে সম্পর্কেও আপনারা জেনে নিবেন। তো এখন আমরা জানবো কোন মাছ চাষে লাভ বেশি হয়। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। সব প্রজাতির মাছেই কম বেশি লাভ হয়ে থাকে। তবে আমরা অত্যাধিক লাভজনক মাছগুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করব। 

যে মাছগুলোর চাহিদা অত্যন্ত বেশি এবং ভালো দামে বিক্রি হয় সেই মাছগুলোই পুকুরে ছাড়ার চেষ্টা করতে হবে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক কোন মাছগুলোর চাহিদা বেশি বা কোন মাছ চাষে বেশি লাভ হয়। লাভজনক মাছের নাম এবং জাতগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • বাংলাদেশের একটি লাভজনক মাছ হলো চিংড়ি মাছ।
  • তেলাপিয়া মাছেও ভালো লাভ করা যায়।
  • পাঙ্গাস মাছ চাষ করেও অনেকে লাভবান হয়েছেন।
  • রুই মাছ তো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটিতে যে অনেক লাভ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
  • কাতলা মাছও লাভজনক প্রজাতির মাছ।
  • বাটার মাছেও লভ্যাংশ গোনা সম্ভব।
  • কই মাছও বেশ লাভজনক।
  • পাবদা মাছের দাম আকাশচুম্বী এবং অত্যন্ত লাভজনক।
  • টেংরা মাছেও লাভ করা সম্ভব।
  • তাছাড়া সিলভার কার্প মাছেও চাষিরা লাভ করে থাকে।
  • গুলসা মাছ এবং শোল মাছও বেশ লাভজনক।
কোন মাছ চাষে লাভ বেশি হয় বা লাভজনক প্রজাতির মাছ সম্পর্কে নিশ্চয়ই এখন সুস্পষ্ট একটা ধারণা পেয়েছেন এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। উপরে যেই মাছগুলোর কথা উল্লেখ করলাম এগুলো হলো মূলত লাভজনক প্রজাতির মাছ। তো আশা করছি কোন মাছ চাষে বেশি লাভ হয় বুঝতে পেরেছেন।

মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি

মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি এটিও আজকে আমাদের আর্টিকেলের আরেকটি প্রধান আলোচ্য বিষয়। বর্তমান সময়ে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে এলাকা সব জায়গায় পুকুর খনন করে মাছ চাষের প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। তার কারণ একটাই সেটি হল মাছের ব্যাপক চাহিদা। বর্তমান যুগে এসে সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ করলে খুব একটা লাভবান হওয়া সম্ভব হবে না। এর জন্য আপনাকে মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি ফলো করতে হবে। মৎস্য চাষিরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে থাকেন।
তবে যারা আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে থাকে তারাই কেবল সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারে। আর এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের শেখাবো কিভাবে আধুনিক পদ্ধতি মেনে মাছ চাষ করলে আপনিও খুব তাড়াতাড়ি তাদের কাতারে সামিল হতে পারবেন যারা মাছ চাষ করে সফল হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ এর জন্য কিছু ধাপ রয়েছে। যে ধাপগুলো আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে মাছ চাষের সফল হতে হলে। তাই চলুন মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতির যে ধাপগুলো রয়েছে সে ধাপগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। ধাপগুলো নিম্নরূপঃ
  • আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য মাছের জাতের দিকে নজর দিতে হবে। অর্থাৎ সব মাছ চাষ না করে লাভজনক মাছ চাষ করতে হবে। কোন মাছগুলো চাষ করা লাভজনক তা উপরে আলোচনা করেছি।
  • পুকুর খননে আপনার সঠিক ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ পুকুরের তলা যাতে সমান হয় সেই দিকে নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হলে আপনাকে পুকুরে সঠিক পরিচর্যা এবং সুন্দরভাবে পুকুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।
  • মাছ ছাড়ার সময় মাছের পোনা নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব আরো করতে হবে। মাছ চাষে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • পুকুরে মিশ্র জাতের মাছ চাষ করতে হবে। বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • আধুনিকভাবে মাছ চাষ করতে হলে আপনাকে মিশ্র জাত নির্বাচনে অত্যন্ত দক্ষ হতে হবে। তা না হলে মাছ চাষে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে না।
  • আধুনিকভাবে মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানি সব সময় পরিষ্কার এবং পানির গুনাগুন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে। পানি অপরিষ্কার হলে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
  • আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য আপনাকে অবশ্যই পানির পিএইচ, খরতা, অম্লতা ইত্যাদি এগুলো বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী।
  • আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ খাবার মাছকে খেতে দিতে হবে।
  • মাছের খাবার তালিকা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। প্রথমত আপনি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে পারেন মাছকে কত মাস বয়সে কি পরিমান খাবার দিতে হবে সেই ব্যাপারে। এটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খাবার না দিলে তো মাছ বড় হবে না।
  • আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হলে মাছের খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে খইল, গুড়ো, ফিডসহ মাছের যে পুষ্টিকর খাবারগুলো সেগুলো খেতে দিতে হবে।
  • প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর মাছের ওজন পরীক্ষা করতে হবে সাথে সাথে মাছ চাষের হিসাব রাখতে হবে।
  • সবচেয়ে ভালো হয় কৃষি কর্মকর্তাদের থেকে মাছ চাষের ট্রেনিং বা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে।
এখানে মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতির যত ধাপ রয়েছে সবগুলোই মোটামুটি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এখন আপনি নিশ্চয়ই আধুনিক পদ্ধতির মাছ চাষের বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন বলে আমি মনে করছি।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি - কোন মাছ চাষে লাভ বেশি

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি এবং কোন মাছ চাষে লাভ বেশি হয় সাথে সাথে মাছ চাষের আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। মাছ চাষের এই বিস্তারিত বিষয়গুলো খুব সহজ এবং সাধারণ ভাষায় আপনাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে মাছ চাষের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনার কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। 

আমি যথাসাধ্য সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার বিন্দুমাত্রও উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।তাদেরকেও মাছ চাষের বিষয়টি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে। তারাও যাতে চাষ করে উদ্যোক্তা হতে পারে। আর সব সময়ের মতো এ কথাই বলতে চাই বিভিন্ন আপডেট খবর সব সময় সবার আগে পেতে আমার এই ওয়েবসাইটের (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাপোর্ট দিন। 

যাতে করে আমি উৎসাহিত হয়ে আরো নতুন বিষয় সম্পর্কে আপনাদের বিভিন্ন সঠিক তথ্য জানাতে পারি। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করছি। পরবর্তীতে আবার কথা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই দোয়া করি। পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Share this post with friends

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;

comment url