কর্ণফুলী টানেলের ৭টি বিস্তারিত তথ্য - কর্ণফুলী টানেল এর প্রধান উপকারিতা

কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য এবং কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য এবং কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সাথে সাথে কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য এবং কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
কর্ণফুলী-টানেল-বিস্তারিত-তথ্য
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেটা একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য - কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা

ভূমিকা | কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য - কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠক, আজকে এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য এবং কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা। এর পাশাপাশি আপনারা কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ এবং কর্ণফুলী টানেল খরচ সহ কর্ণফুলী টানেল নিয়ে আরো যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়লে আপনি কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সকল বিষয় জানতে পারবেন। তাহলে আমি আশা করব আপনি একজন মনোযোগী পাঠক হিসেবে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়বেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানা এবং বোঝার চেষ্টা করবেন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষায় কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদটি আসতে পারে। কারণ বর্তমান সময়ে কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের একটি অতি জনপ্রিয় টানেল। কর্ণফুলী টানেল মূলত বাংলাদেশের একমাত্র টানেল যা কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। কর্ণফুলী টানেলের অপর নাম বঙ্গবন্ধু টানেল। 

এই টানেলটি স্থাপনের ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। তাছাড়া কর্ণফুলী টানে স্থাপনের ফলে বিভিন্ন পর্যটক বাহিরের দেশ থেকে আমাদের এই টানেলটি ভ্রমণ করতে আসে। বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের ধরন হলো হল দুই লেনের অর্থাৎ ডুয়েল টানেল।
কর্ণফুলী টানেলের প্রবেশপথ রয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকা অর্থাৎ সমুদ্র বন্দরের কাছে কর্ণফুলী নদীর তীরে। আরো সহজ করে বলতে গেলে সেখানে নেভি কলেজ রয়েছে। আর এই টানেলের বহির্গমন পথ রয়েছে আনোয়ারা সার কারখানার প্রান্তে। আপনি কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ এ এই বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারেন। যেটা আপনার অনুচ্ছেদটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে। 

তাছাড়া কর্ণফুলী টানেল এর দৈর্ঘ্য কত? কর্ণফুলী টানেল এর খরচ কত? এই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। যেগুলো আপনি আপনার কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ এর মধ্যে উল্লেখ করতে পারেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি বিষয়টি ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন।

কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা

কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা কি? এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যে বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে থাকা প্রয়োজন। কর্ণফুলী টানেল এর প্রধান উপকারিতা রয়েছে যোগাযোগ ক্ষেত্রে। মূলত কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপিত করা হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। 

একে বঙ্গবন্ধু টানেল নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধু টানেল স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। যেটি কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা। আবার বিভিন্ন পর্যটকরা এই টানেলটি দেখতে এসে এটি দেখার জন্য টাকা প্রদান করে থাকে। যার ফলে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও অনেক উন্নত হবে। এটিও কর্ণফুলী টানেলের আরেকটি বড় উপকারিতা। বিশ্লেষকদের মতে, এই কর্ণফুলী টানেল অর্থনীতিতে অনেক সাড়া জাগাবে। 

যেটা আমাদের অর্থনীতি ব্যবস্থাকে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই টানেল স্থাপনের ফলে চট্টগ্রাম মূল শহরের সাথে আনোয়ারা উপজেলার একটি সংযোগ সৃষ্টি হবে। যেটা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চট্টগ্রাম হল ভারী শিল্প এলাকা। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি দেশের অর্থনীতির চাকা দাঁড়িয়ে থাকে সেই দেশের শিল্পের ওপর।
আর এই কর্ণফুলী টানেলটি স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে। যার ফলে আমাদের অর্থনীতিতে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেহেতু চট্টগ্রাম ভারী শিল্প এলাকা। তাই এখানে প্রচুর যানজট এবং জ্যাম লেগেই থাকে। বঙ্গবন্ধু টানেল তথা কর্ণফুলী টানেলটি স্থাপনের ফলে এই যানজটকে অনেক কমানো সম্ভব হয়েছে। যেটা কর্ণফুলী টানেল এর সবচেয়ে বড় একটি উপকারিতা। 

কাজেই, বুঝতেই পারছেন কর্ণফুলী টানেল স্থাপনের ফলে সকল দিক দিয়েই আমাদের উপকার হবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য

কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে আমাদের এখন আলোচনার বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য জানতে চাই। তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি। কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক। কর্ণফুলী টানেল এর বিস্তারিত তথ্য গুলো নিম্নরূপঃ
  • কর্ণফুলী টানেল এর দৈর্ঘ্যঃ কর্ণফুলী টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩৯ কিলোমিটার এবং মূল টানেল এর দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার বা ২.০৬ মাইল।
  • কর্ণফুলী টানেলের প্রস্থ কতঃ কর্ণফুলী টানেলের প্রস্থ হল ১০.৮ মিটার বা ৩৫ ফুট। আশা করছি কর্ণফুলী টানেলের প্রস্থ কত তা জানতে পেরেছেন।
  • কর্ণফুলী টানেলের গভীরতাঃ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেলটির গভীরতা হবে ১৮ থেকে ৩১ মিটার এবং দুটি টিউব দ্বারা নির্মিত।
  • কর্ণফুলী টানেল এর উচ্চতাঃ কর্ণফুলী টনের উচ্চতা হল ১৪.৫ মিটার বা ৪৭ ফুট।
  • কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনঃ বঙ্গবন্ধু টানেল তথা কর্ণফুলী টানেলটি উদ্বোধন করা হয় ২৮ শে অক্টোবর ২০২৩। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টানেলটি উদ্বোধন করেন।
  • কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করে কোন কোম্পানিঃ কর্ণফুলী টানেলটি নির্মাণ করে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল হিসেবে এই বঙ্গবন্ধুর টানেলটি উন্মোচন করা হয়েছে।
  • কর্ণফুলী টানেলের এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য কতঃ কর্ণফুলী টানেলের এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য হল ৫.৩৫ কিলোমিটার। কর্ণফুলী টানেলটি ২ টিউব বিশিষ্ট ২ লেনের ডুয়েল টানেল।
উপরোক্ত বিষয়গুলোই হল কর্ণফুলী টানেলের বিস্তারিত তথ্য। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কর্ণফুলী টানেল খরচ

কর্ণফুলী টানেল খরচ সম্পর্কে এখন একটু ধারণা নেওয়া যাক। আমাদের অনেককেই কর্ণফুলী টানেল খরচ নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যায়। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কর্ণফুলী টানেল খরচ সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কর্ণফুলী টানেল খরচ সম্পর্কে জেনে আসি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম জেলায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করে। তখন এই টানেল নির্মাণের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আর এর মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য এই প্রকল্পটি অনেক পিছিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এর ব্যয় বেড়ে যায়। ব্যয় বাড়ার ফলে পরবর্তী সময়ে বাজেটটি সংশোধন করে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা করা হয়েছে এবং এর মেয়াদকাল করা হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। করোনা মহামারীর জন্য কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটির ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। আশা করছি কর্ণফুলী টানেল খরচ কত এই বিষয়টি আপনি জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য - কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা

পরিশেষে, আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য এবং কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে এবং আপনি কর্ণফুলী টানেল তথা বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকুও উপকার মনে হয় তবে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। 

তাদেরও এই বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা প্রয়োজন। আর এরকম নিত্য নতুন সব আপডেট খবর সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করুন। আমি সবসময় চেষ্টা করি সঠিক তথ্য দিয়ে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। 

ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন মহান আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

Share this post with friends

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;

comment url