ধাতু রোগ সারানোর ৯টি উপায় - ধাতু ক্ষয় রোগের ১৮টি লক্ষণ
আজকের এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ধাতু রোগ সারানোর উপায় কি খেলে ধাতু রোগ
ভালো হয়। আপনি নিশ্চয়ই ধাতু রোগ সারানোর উপায় এবং কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয়
এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ধাতু রোগ সারানোর উপায়
এবং কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় সহ ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ এই বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পারবেন।
ধাতু রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যাক্তি হিসেবে আপনাকে
ধাতু রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে ধাতু রোগের বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে। তো আমি আশা করব একজন প্রিয় পাঠক হিসেবে আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ধাতু রোগ সারানোর উপায় - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয়
- ভূমিকা
- ধাতু রোগ কি (What is dhat syndrome)
- ধাতু রোগ চেনার উপায় | ধাতু রোগ কেন হয় (dhat syndrome causes)
- ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ (dhat syndrome symptoms)
- ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিকার | কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় (What does dhat syndrome get better by eating)
- ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিরোধ | ধাতু রোগ সারানোর উপায় (Prevention of dhat syndrome)
- ধাতু ক্ষয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ (Allopathic Medicines for dhat syndrome) | ধাতু ক্ষয় রোগের হোমিও ঔষধ (Homeo Medicine for dhat syndrome)
- ধাতু ক্ষয় রোগের হামদার্দ ঔষধ | ধাতু ক্ষয় রোগের ঔষধ (Medicines for dhat syndrome ) | ধাতু ক্ষয়ের সিরাপ (Dhat syndrome syrup)
- ধাতু রোগের গাছ গাছড়া ওষুধ | কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ | ধাতু ক্ষয় রোগের বনাজি ঔষধ | ধাতু ক্ষয়ের ঘরোয়া চিকিৎসা (Home Remedies for dhat syndrome )
- শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা | ধাতু রোগ সারানোর উপায় - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয়
আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় যেটি সেটি হচ্ছে ধাতু রোগ সারানোর
উপায় বা কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয়। তার সাথে ধাতু রোগ সংশ্লিষ্ট আরও
বিষয় যেমন: ধাতু রোগ কি ধাতু রোগ চেনার উপায়, ধাতু রোগ কেন হয়? ধাতু
রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ, ধাতু রোগের লক্ষণ, ধাতু রোগের এলোপ্যাথিক ওষুধ,
ধাতু রোগের হোমিওপ্যাথি ওষুধ, ধাতু রোগের কবিরাজি ওষুধ, ধাতু ক্ষয় রোগের
বনাজি ওষুধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। একজন সুপ্রিয় পাঠক
হিসেবে এবং ধাতু রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি
আপনাকে পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনি ধাতুরূপ
সম্পর্কে একটা বিস্তর ধারণা লাভ করবেন ইনশাল্লাহ।
ধাতু রোগ কি (What is dhat syndrome)
ধাতু রোগটি প্রথম শনাক্ত হয় ভারতীয় উপমহাদেশে। এ রোগে আক্রান্ত
পুরুষরোগীগণ মনে করেন তারা অকাল বীর্যপাত এবং ধ্বজভঙ্গের সমস্যায় ভুগছেন।
সেই সঙ্গে তাদের আরও একটি সমস্যার কথা মনে হয় তা হচ্ছে তাদের প্রসবের
সঙ্গে বীর্য বের হওয়া। পুরুষাঙ্গ দৃঢ় না হওয়া ব্যতীতই তাদের অনিচ্ছাকৃত
বীর্যপাত হয়। আবেগ সামাল দিতে না পারা এবং মধ্যপান করা ধাতু রোগের কয়েকটি
কারণ। কিশোর বয়সে শরীরে অতিরিক্ত শুক্রাণু তৈরির ফলে ধাতু রোগটি দেখা
দেয়। আসলে অতিরিক্ত শুক্রাণু তৈরি এটাই যে ধাতু রোগের কারণ এর কোন অকাট্য
গবেষণা এখনো পাওয়া যায়নি।
ধাতু রোগ চেনার উপায় | ধাতু রোগ কেন হয় (dhat syndrome causes)
ধাতু রোগে সাধারণত অকাল বীর্যপাত এবং ধ্বজভঙ্গের সমস্যা দেখা
যায়। ধাতু রোগ চেনার কিছু মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো শারীরিক
দুর্বলতা, ঘুম না আসা, খুব তাড়াতাড়ি অবসাদগ্রস্ততা, খিটখিটে মেজাজ,
উদ্বিগ্নতা এবং অপরাধ বোধই প্রধান। এই সমস্যাগুলো কারো মধ্যে বিদ্যমান
থাকলে প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় যে তার ধাতু রোগ হয়েছে। এই সমস্যাগুলো
প্রাথমিক ধাতু রোগ সনাক্তকরণ এবং চেনার উপায়।
ধাতু রোগটি হয়ে থাকে একটি জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কারণে। ইন্টারন্যাশনাল
ক্লাসিফিকেশন অফ ডিজিস (ICD-10) এর মত অনুসারে স্নায়ুবৈকল্য বা নিউরোটিক
ডিসঅর্ডার এর কারণে ধাতু রোগ হয়ে থাকে। এই জেনেটিক ডিসঅর্ডার এর কোড হচ্ছে
F 48.8 । এই নিউরোটিক ডিসঅর্ডার এর কারণে ধাতু রোগ হয়ে থাকে। তাছাড়া ধাতু
রোগের আরও কিছু কারণ রয়েছে যেমন : অতিরিক্ত যৌনমিলন, অতিরিক্ত হস্তমৈথুন,
ঘনঘন নস্বপ্নদোষ, নারীদের নিয়ে বেশি চিন্তা করা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সিফিলিস,
গনোরিয়া ইত্যাদি নানারকম সমস্যার কারণে ধাতু রোগ হয়ে থাকে।
ধাতুক্ষয় রোগের লক্ষণ , প্রতিকার ও প্রতিরোধ
এখন এই প্যারাগ্রাফে আমি আলোচনা করব ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও
প্রতিরোধ সম্পর্কে। ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ,প্রতিকার ও প্রতিরোধের
মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান প্রধান বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ
করলাম।
ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ (dhat syndrome symptoms)
যে বিষয়গুলো দেখে বুঝতে পারবেন যে আপনার ধাতু ক্ষয় রোগ হয়েছে, এটাই
ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত । ধাতু ক্ষয় রোগের লক্ষণ গুলো নিচে
দেওয়া হলঃ
- শারীরিক দুর্বলতা ।
- কোন কিছুতে মনোযোগী না হওয়া।
- সব সময় দুশ্চিন্তা করা।
- স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ।
- ঘুম ঘুম ভাব পাওয়া।
- সকল কাজে তাড়াহুড়া ভাব প্রকাশ করা।
- বীর্য তরল হয়ে যাওয়া।
- শরীরে ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব লক্ষণীয়।
- জীবনী শক্তি কমে যাওয়া।
- খুব তাড়াতাড়ি বার্ধককে পরিণত হওয়া।
- শারীরিক অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়া।
- দেহে যৌন হরমোন কম নিঃসৃত হওয়া।
- চেহারার সৌন্দর্য এবং লাবণ্যতা কমে যাওয়া।
- বুক ধড়ফড় বৃদ্ধি পাওয়া।
- প্রায় সময়ই মাথা যন্ত্রণা হওয়া।
- প্রসবের আগে এবং পরে আঠালো ধাতু নির্গত হওয়া।
- যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া।
- কোন বিষয় নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তা করা।
উপরোক্ত বিষয়গুলো হল ধাতু ক্ষয় রোগের বিশেষ বিশেষ লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো
একজন ব্যক্তির মধ্যে দেখা গেলে বুঝতে হবে তার ধাতু ক্ষয় রোগ আছে। আশা করি
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিকার | কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় (What does dhat syndrome get better by eating)
প্রতিকার বলতে বোঝায় রোগটি হওয়ার পরে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
অর্থাৎ কি চিকিৎসা করতে হবে । ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিকারগুলো নিচে দেওয়া
হলঃ
- ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিকার কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় এই প্রসঙ্গে প্রথমে যে বিষয়টি আসে সেটি হচ্ছে পেঁয়াজ। কুচি পেঁয়াজ লবণ দ্বারা চিবিয়ে পানি পান করতে হবে। এরপর এক গ্লাস দুধ পান করবেন। এভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে ধাতু ক্ষয় সমস্যার সমাধান হবে।
- প্রতিদিন রাতে এক চামচ ইসবগুল এর ভুষি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং সকালে এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে। ১৫ দিন সেবন করার পর আশা করা যায় ধাতু ক্ষয় সমস্যার সমাধান হবে।
-
আমলকিও ধাতু ক্ষয় রোগ চিকিৎসায় বেশ উপযোগী। প্রতিদিন রাতে এক চামচ
আমলকি গুড়ো এবং সাথে আখের গুড় মিশিয়ে সেবন করলেও এ সমস্যার সমাধান
হয়ে যায়।
-
আমরা সবাই শিমুল গাছ চিনি। শিমুল গাছের মূলও কিন্তু ধাতু ক্ষয় রোগ
সমস্যার সমাধান করতে পারে। আপনি নিয়মিত শিমুল গাছের মূল ভালোমতো
পরিষ্কার করে চিবিয়ে খাবেন এতে করেও আপনার ধাতু ক্ষয় সমস্যার সমাধান
হবে ইনশাল্লাহ।
ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিরোধ | ধাতু রোগ সারানোর উপায় (Prevention of dhat syndrome)
ধাতু ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ বলতে বোঝায় রোগটি না হওয়ার আগে যে সতর্কতা
অবলম্বন করতে হয় অর্থাৎ ধাতু ক্ষয় রোগ সারানোর উপায় (Dhatu rog
saranor upay)। ধাতু ক্ষয় রোগ সারানোর উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
- ধাতু রোগ সারানোর প্রথম উপায় হল হস্তমৈথুন না করা।
- পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত না হওয়া ধাতু রোগ সারানোর উপায় (Prevention of dhat syndrome).
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে তরল কোন গরম খাবার না খাওয়াই উত্তম।
- ঘুমানোর সময় সুতির তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা উচিত।
- দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করা ধাতু রোগ সারানোর আরেকটি উপায় (Dhatu rog saranor upay).
- অবশ্যই মাদক থেকে বিরত থাকতেই হবে।
- নারীদের নিয়ে খারাপ চিন্তা থেকে বিরত থাকা ধাতু রোগ সরানোর উপায় (Prevention of dhat syndrome).
- ধাতু রোগ সারাতে হলে মদ্যপান এবং অ্যালকোহল জাতীয় তরল অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
- অবস্থা যদি অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
উপরোক্ত বিষয়গুলোই হল ধাতু রোগ সারানোর বিশেষ বিশেষ উপায়। উপরোক্ত
উপায় গুলো ফলো করলে ইনশাল্লাহ আপনি ধাতু রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আশা
করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ধাতু রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন।
ধাতু ক্ষয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ (Allopathic Medicines for dhat syndrome) | ধাতু ক্ষয় রোগের হোমিও ঔষধ (Homeo Medicine for dhat syndrome)
ধাতু ক্ষয় রোগের ঔষধ, এই প্যারাগ্রাফে আমরা ধাতু ক্ষয় রোগের
এলোপ্যাথিক এবং ধাতু ক্ষয়ের হোমিও ওষুধ এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করব। ধাতু ক্ষয় রোগের সমস্যা সমাধানে এলোপ্যাথিক ওষুধ সেবনে দেখা
যায় যে যতদিন ওষুধ খাবেন ততদিন ভালো থাকে। কিন্তু ঔষধ গ্রহণ না
করলে আবার আগের মতোই হয়ে যায় ।কাজেই, ধাতু ক্ষয় রোগের সমাধানে
এলোপ্যাথিক ওষুধ খুব একটা কার্যকর নয়। তবে ধাতু ক্ষয় রোগের এলোপ্যাথিক
ওষুধের নাম হলো ভিবানিউরন ট্যাবলেট (Vibanuron
Tablet).
আরো পড়ুনঃ ইন্টারনেট থেকে আয় করার নিয়ম জেনে নিন
আবার ধাতু ক্ষয় রোগে আরেকটি ওষুধ ব্যবহৃত হয় সেটি হচ্ছে
হোমিওপ্যাথি ঔষধ। ধাতু ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধ কার্যকর।
ধাতু ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধ সেবন করলে সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে
ঠিকই কিন্তু আপনি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হোমিও ওষুধ সেবন করলে
এই রোগটি একদম ভেতর থেকে ভালো হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আপনি সুস্থ জীবন যাপন
করতে সমর্থ হবেন। ধাতু ক্ষয় রোগের চিকিৎসা অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার দ্বারা
করানোই শ্রেয় হবে।
আশা করছি ধাতু ক্ষয় রোগের এলোপ্যাথিক ওষুধ এবং ধাতু ক্ষয় রোগের হোমিও
ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। সাথে সাথে কোথায় চিকিৎসা
করলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই আমার পরামর্শ
থাকবে, ধাতু ক্ষয় রোগে এলোপ্যাথিক ওষুধের চেয়ে আপনি অভিজ্ঞ হোমিও
ডাক্তারের পরামর্শক্রমে হোমিও ওষুধ সেবন করবেন।
ধাতু ক্ষয় রোগের হামদার্দ ঔষধ | ধাতু ক্ষয় রোগের ঔষধ (Medicines for dhat syndrome ) | ধাতু ক্ষয়ের সিরাপ (Dhat syndrome syrup)
ধাতু ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় হামদার্দ ঔষধ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে থাকে। হামদার্দ ঔষধের উপকারী উপাদানসমূহ ধাতু রোগের দুর্বলতা
কাটিয়ে সুস্থতা দান করে। কিছু হামদার্দ ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করা
হলোঃ
নারভেন্ট (Nervent)ঃ নারভেন্ট একটি প্রাকৃতিক উপাদানের
সমন্বয়ে তৈরি উপকারী মহৌষধ। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান গুলো ধাতু ক্ষয়
রোগ থেকে মুক্তি দান করে। ফলে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ এবং ঘনঘন বীর্যপাত হওয়া
থেকে মুক্ত করে। ইহা শুক্র থলির অক্ষমতা দূর করে এবং স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি
করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ধাতু ক্ষয় সমস্যার সমাধান করে।
নিউটোন (Newton)ঃ নিউটোনে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ শারীরিক
দুর্বলতা মিটিয়ে দেয় পেশী এবং হাড় মজবুত করে। রক্তস্বল্পতা দূর করতে
সাহায্য করে। পাশাপাশি ধাতু ক্ষয় রোগের সমস্যা সমাধান করে। দেহকে সুগঠিতভাবে
গড়ে তুলতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।
নিশাত (Nishat)ঃ ইউনানী ওষুধের মধ্যে নিশাত অন্যতম। নিশাত
যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। নিশাতে কোন সিনথেটিক হরমোন নেই। নিশাত সেবনে যৌন শক্তি
বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এটি দ্রুত বীর্যপাত এবং শারীরিক
দুর্বলতা দূর করে ধাতু ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
লিবিডেক্স (Libidex)ঃ ধাতু ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় আর একটি
ওষুধ হচ্ছে লিবিডেক্স। এটি শুক্রাণু তারল্য দূর করে এবং মাত্রাতিক্ত
স্বপ্নদোষ রোধ করতে সাহায্য করে। এটি সেবন করলে বার্ধক্য দূর হয়। যৌন শক্তি
বাড়াতে লিবিডেক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া ধাতু ক্ষয় রোগ
থেকে মুক্তির একটি ওষুধ।
এনডিউরেক্স (Endurex)ঃ এনডিউরেক্স পুরুষের শক্তি বর্ধক
একটি ওষুধ। এটি মূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
এনডিউরেক্স টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশী
তন্ত্র এর কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। তাছাড়া ধাতু রোগ সারাতে
সাহায্য করে।
ধাতু ক্ষয়ের সিরাপঃ অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে ধাতু ক্ষয়ের সিরাপ
কি? চলুন আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। আসলে ধাতু রোগ
সারানোর উপায় - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় (ki khele dhatu rog valo hoy) এই
আলোচনায় যদি সিরাপ এর কথা বলা হয় তাহলে যে সিরাপটির নাম প্রথমে থাকবে সেটি
হচ্ছে জারনাইড (Jernide). সিরাপ। এটি একটি ইউনানী ওষুধ।
ধাতু রোগের গাছ গাছড়া ওষুধ | কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ | ধাতু ক্ষয় রোগের বনাজি ঔষধ | ধাতু ক্ষয়ের ঘরোয়া চিকিৎসা (Home Remedies for dhat syndrome )
ধাতু রোগের গাছ গাছড়া ওষুধ, কবিরাজি গাছ গাছরা ওষুধ এবং ধাতু ক্ষয় রোগের
বনাজি ওষুধ এই তিনটি মূলত একই বিষয়। তো চলুন আলোচনা করা যাক এ বিষয়গুলো
নিয়ে। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকে ধাতু রোগের গাছ-গাছরা ওষুধ বা কবিরাজি
ওষুধ কিংবা বনাজি ওষুধ আসলে কি? কিভাবে সেবন করতে হয় এবং কোন ওষুধটি
খেলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। ধাতু রোগ সারাতে হলে
গাছ গাছরা ওষুধের মধ্যে যেটি উত্তম সেটি
হচ্ছে ওলটকম্বলের পাতা।
আপনাকে ৩ থেকে ৪টি ওলটকম্বলের পাতা নিতে হবে এবং পাতাগুলো ফেলে দিয়ে তার
ডাটাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ডাটাগুলো ছোট ছোট করে কেটে একটি কাঁচের
জারে ৬ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ডাটা গুলো থেকে যে আঠালো রস বের হবে
তা তার পরবর্তী ৬ ঘন্টা পর খেতে হবে। এভাবে ৭ থেকে ১০ দিন সেবন করলে আশা করা
যায় আপনার ধাতু ক্ষয় সমস্যার সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। তাছাড়া আরো গাছ
গাছড়া ঔষধ রয়েছে যা ধাতু ক্ষয়ের প্রতিকার এই প্যারাগ্রাফের মধ্যে
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | ধাতু রোগ সারানোর উপায় - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয়
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের ধাতু রোগ সরানোর উপায় এবং কি খেলে ধাতু রোগ
ভালো হয় এই বিষয় সহ ধাতু রোগ সংশ্লিষ্ট আরও যাবতীয় বিষয়ে একটা স্পষ্ট
ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করছি আপনি ধাতু রোগ সম্পর্কে পুরোপুরি
বুঝতে পেরেছেন। তবুও আপনার যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা থাকে তাহলে আপনি
ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে বিস্তারিত জানাতে পারেন। আমি
যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি
হিসেবে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন রোগ সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
আর ধাতু রোগ সংশ্লিষ্ট এত সব তথ্যর মধ্যে আপনার যদি মনে হয় একটি তথ্যও আপনার
উপকারে এসেছে তাহলে অবশ্যই আপনি আর্টিকেলটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে
এবং তাদেরকেও ধাতু রোগ বিষয়ে জানার সুযোগ করে দিন। আর নিত্য নতুন সব
আপডেট তথ্য সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন। আমি চেষ্টা করি সঠিক সময় আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে
সাহায্য করতে। আর কথা না বাড়িয়ে আজকের এই আর্টিকেলের এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা
করছি । এতক্ষন সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;
comment url