বায়োমেট্রিক্স এর ০৭টি সুবিধা ও ০৭টি অসুবিধা - বায়োমেট্রিক এর ০৯টি ব্যবহার

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার জানতে আগ্রহী। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Biometrics), বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics) সহ বায়োমেট্রিক্স এর কাজ সম্পর্কেও ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বায়োমেট্রিক্স বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী।
বায়োমেট্রিক্স-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল লেখা তথা বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার আলোচনা শুরু করি। আপনাকে বায়োমেট্রিক্স এর সকল বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা নিতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তো আমি আশা করব একজন প্রিয় পাঠক হিসেবে আপনি এই আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়বেন এবং বায়োমেট্রিক্স এর জ্ঞান লাভ করবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা - বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার

ভূমিকা | বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Biometrics) - বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics)

বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারের মধ্যে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি আবিষ্কার সত্যিই খুব অসাধারণ। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Biometrics er subidha o osubidha) এবং বায়োমেট্রিক্স এর ব্যবহার (Biometrics er babohar) এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। সাথে সাথে বায়োমেট্রিক্স কি? (What is Biometrics?) বায়োমেট্রিক্স কত প্রকার বা ম্যাট্রিক্সের প্রকারভেদ, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কি? বায়োমেট্রিক পদ্ধতির জনক কে? ইত্যাদি আরো অনেক প্রশ্ন যেটা আপনারা রীতিমতো খোঁজাখুঁজি করছেন সেই বিষয়ে আরো বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।
বিশেষ করে যারা বায়োমেট্রিক্স বিষয়ে কিছুই জানে না কিংবা আংশিক জানে এই আর্টিকেলটি পড়লে তারা বায়োমেট্রিক্স বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবে। তো বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Biometrics er babohar) সহ বায়োমেট্রিক্স এর যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আমি আশা করি আপনি বায়োমেট্রিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।

বায়োমেট্রিক্স কি (What is Biometrics?) | বায়োমেট্রিক্স কত প্রকার | বায়োমেট্রিক্স এর প্রকারভেদ

বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা, বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার আলোচনার এ পর্বে আমি আপনাদের জানাবো বায়োমেট্রিকস কি? (Biometrics ki) বায়োমেট্রিক্স কত প্রকার বা বায়োমেট্রিক্স এর প্রকারভেদ এই সম্পর্কে। বায়োমেট্রিক্স শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। যেটা দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত। Bio অর্থ জীবন আর Metric অর্থ পরিমাপ। বায়োমেট্রিক হলো মূলত ব্যক্তি সনাক্তকরণের একটা পদ্ধতি যেখানে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার দ্বারা একটা মানুষকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। এটা গেল বায়োমেট্রিক্স কি? এই বিষয়টা। তো এবার জানাবো বায়োমেট্রিক কত প্রকার বা বায়োমেট্রিক এর প্রকারভেদ কি? বায়োমেট্রিক্স প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ
  • দেহের গঠনের ওপর ভিত্তি করে বায়োমেট্রিক্স
  • আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বায়োমেট্রিক্স
দেহের গঠনের উপর ভিত্তি করে বায়োমেট্রিক্স বলতে যে বিষয়গুলো বোঝায় সেটি হচ্ছে আপনার দেহের বাহ্যিক গঠন। অর্থাৎ মুখমণ্ডল বিশ্লেষণ করা, হাতের আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণ, চোখের রেটিনা বিশ্লেষণ, হাতের গঠনগত বৈশিষ্ট্য বা হ্যান্ড জিওমেট্রি এই বিষয়গুলো গঠনগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। আবার আচরণগত বৈশিষ্ট্য বলতে বোঝায় ভয়েস বিশ্লেষণ করা, সিগনেচার তথা হাতের লেখা বিশ্লেষণ করা ইত্যাদি বাহ্যিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিষয়াদি আচরণগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে।

বায়োমেট্রিক এর জনক কে | বায়োমেট্রিক্স এর অপর নাম কি

বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Biometrics), বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics) এই বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে জানতে হবে বায়োমেট্রিক এর জনক কে? বা বায়োমেট্রিক্স এর অপর নাম কি? পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির অনন্য আবিষ্কারের মধ্যে একটি হলো বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি। যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করা যায়। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কাজে লাগিয়ে কিংবা বাহ্যিক বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে এই বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি সনাক্ত করা হয়। যার ফলে সঠিক ব্যক্তির চিহ্নিত করা খুব সহজেই সম্ভব।

অসাধারণ এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন পলিয়েন হোগেওয়েগ (Paulien Hogeweg)। তিনি ১৯৭৮ সালে এই অসাধারণ প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেন। তাছাড়া বায়োমেট্রিক্স এর ভেতর একটি জিনিস পড়ে সেটি হচ্ছে আঙ্গুলের ছাপ এই আঙুলের ছাপ আবিষ্কার করতে বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী ছিল। তিনি হলেন আজিজুল হক এবং তার সাথে ইংল্যান্ডের স্যার হেমচন্দ্র বোস ছিলেন। তারা ১৮৯০ সালে গবেষণা শুরু করে এবং ১৮৯২ সালে সফলভাবে হাতের আঙ্গুলের ছাপ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। হাতের আঙ্গুলের ছাপ পুরো পৃথিবীর মানুষের কারো সাথে কারো কখনই মিলবে না।
অন্য মানুষ তো দূরের কথা আপনার এক আঙুলের ছাপ ও অন্য আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলবে না। পদ্ধতিটি সত্যিই অসাধারণ। তাছাড়া অনেকেই জানতে চাই বায়োমেট্রিক্সের অপর নাম কি? তো চলুন জেনে নেয়া যাক বায়োমেট্রিক্স এর অপর নাম কি? অনেক গবেষক বায়োমেট্রিক্স এর অপর নাম দিয়েছেন বিহেভিয়ার মেট্রিক্স। বাংলায় এর অর্থ করলে দাড়ায় মানব আচার আচরণ পরিমাপবিদ্যা। তো এখন নিশ্চয়ই আপনাদের ক্লিয়ার হয়েছে বায়োমেট্রিক্স এর জনক কে বা বায়োমেট্রিক্স এর অপর নাম কি এই বিষয় সম্পর্কে। তো চলুন পরের আলোচনায় ফিরে যাই।

বায়োমেট্রিক্স এর কাজ কি (What is the function of biometrics?) | বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কি

বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Biometrics er subidha o osubidha) কিংবা বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার বিষয়টি জানার পূর্বে আমাদের জানা প্রয়োজন বায়োমেট্রিক্স এর কাজ কি? (Biometrics er kaj ki) বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কি এই বিষয় সম্পর্কে। তো উপরের অংশটুকু পড়ে এতোটুকু নিশ্চয়ই ক্লিয়ার হয়েছেন যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কি? আমি আবার বলছি, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হলো কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করার একটা পদ্ধতি। তো এবার আলোচনার বিষয় বায়োমেট্রিক্স এর কাজ নিয়ে। বায়োমেট্রিক্স মূলত বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। 

বায়োমেট্রিক্স প্রধানত কাজ করে দেহের বিভিন্ন বাহ্যিক কার্যকলাপ কে কেন্দ্র করে। যেমনঃ হাতের ছাপ, হাতের রেখা, আঙুলের দৈর্ঘ্য, আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনা, চোখের আইরিশ ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে কাজ করে। বিষয়টি বুঝানোর জন্য আপনাকে ছোট একটি উদাহরণ দিই। এই যে বড় বড় কর্পোরেট লেভেলের অফিস এখানে প্রতিনিয়ত অনেক কর্মচারী কাজ করে। এখন তারা রেগুলার অফিসে আসছে কিনা কিংবা সঠিক মত কাজ করছে কিনা এই বিষয়গুলো নির্ধারণের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এখানে হাতের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহৃত হয়। 

একজন কর্মচারী যখন সকালে সেই অফিসে আসে তখন তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে স্ক্যান করে নেয় তার উপস্থিতি প্রমাণের জন্য। এতে করে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে সে কর্মচারী অফিসে আছে এবং কাজ করছে। আবার অফিস শেষে আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যান করে আবার বাড়িতে ফিরে যায়। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফিস কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে তার অফিস টাইম শেষ হয়েছে। এতে করে সময় এবং শ্রম দুটোই বেঁচে যায়। আবার আজকাল আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন অপারেটর কোম্পানির সিম কিনি। সিম কেনার সময় রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার হাতের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। কেন ছাপ নেওয়া হয় জানেন? এই সিমটি আপনার মালিকানার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে অন্য কেউ যাতে এই সিমের মালিকানা দাবি না করতে পারে। যাতে করে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে আপনার যাবতীয় ইনফরমেশন এর সাথে আপনার আঙ্গুলের ছাপ মিলে যায় এবং এই সিমটি আপনার বলেই পরিগণিত হয়। এজন্য হাতের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। তাছাড়া বর্তমানে বায়োমেট্রিক্স আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। 

দরজায় লক থেকে শুরু করে যাবতীয় পার্সোনাল সিকিউরিটির জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটা সফলভাবে কাজও করছে। দরজায় আঙ্গুলের ছাপ এবং রেটিনা স্ক্যানার এর ব্যবস্থা থাকে যার ফলে দরজার দিকে তাকালে কিংবা হাতের আঙ্গুল দিলেই দরজা খুলে যায়। কাজেই, দেখা যাচ্ছে বায়োমেট্রিক্স বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় এবং এটা সফলভাবে কাজও করে। তো আশা করি বায়োমেট্রিকের কাজ কি এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কি এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Biometrics)

আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার প্রধান বিষয় যেটা বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা। এই সম্পর্কে এবার বিস্তারিত আলোচনা করব। উপরের বিভিন্ন প্যারাগ্রাফে বায়োমেট্রিক্স এর আরো যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা এই সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।

বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধাঃ বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনার এই পর্বে এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা (Advantages of Biometrics) সম্পর্কে। বায়োমেট্রিক্স এর যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে। তবে প্রধান প্রধান সুবিধাগুলো আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। তো চলুন জেনে নেয়া যাক বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা সমূহঃ
  • বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি উচ্চ নিরাপত্তার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
  • বায়োমেট্রিক্স এর মাধ্যমে কোন সিকিউরিটি দেওয়া হলে সেটা চুরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
  • বায়োমেট্রিক যেহেতু একটা প্রযুক্তি। কাজেই, পক্ষপাতিত্ব হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
  • প্রাথমিক খরচ একটু বেশি হলেও পরবর্তীতে এর খরচ অনেক আংশিক কমানো সম্ভব।
  • বায়োমেট্রিক যেহেতু ব্যক্তির দৈহিক গঠনের সাথে সম্পর্কিত, ফলে এঁকে বিকৃত করা বা নকল প্রমাণ করা অসম্ভব।
  • বায়োমেট্রিক যেহেতু মানুষের দেহের সাথে সম্পর্কিত ফলে হারিয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কিংবা ভুলে যাওয়ার কোন অবকাশ নেই।
  • Spoof-proof-নকল, জাল, চুরি বা হস্তান্তর করা খুবই কঠিন।
মূলত এগুলোই হল বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা।

বায়োমেট্রিক্স এর অসুবিধাঃ বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনার এ পর্বে আমি এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব বায়োমেট্রিক্স এর অসুবিধা (Disadvantages of biometrics) সম্পর্কে। উপরে আলোচনা করলাম বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা নিয়ে। এবারে আলোচ্য বিষয় হলো বায়োমেট্রিক্স এর অসুবিধা। তো চলুন জেনে নিই বায়োমেট্রিক্স এর অসুবিধা সমূহঃ
  • বায়োমেট্রিক্স এ ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম যারা ব্যবহার করে তাদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই সীমিত।
  • বায়োমেট্রিক্স এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • বায়োমেট্রিক্স এর ইনস্টলেশন খরচ খুব বেশি হয়ে থাকে। যেটা সাধারণ জনবলের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
  • বায়োমেট্রিক্স এ কণ্ঠস্বরের পার্থক্যের জন্য প্রযুক্তিটি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
  • বায়োমেট্রিক্স এ যেহেতু ফেস রিকগনিশনে আলোর প্রতিফলন ব্যবহৃত হয়। তাই মাঝে মাঝে এটি মুখমন্ডল চিনতে পারেনা।
  • বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তিটি পরিচালনার জন্য খুবই দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন হয়।
  • প্রতিটি স্বাক্ষর একই রকম না হলে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তিটি ব্যক্তি চিহ্নিত করতে অসফল হয়।
এগুলোই হল মূলত বায়োমেট্রিক্স এর অসুবিধা। তো আমি আশা করছি এখন আপনি বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Biometrics) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics)

আজকের আর্টিকেলের প্রধান আরেকটি আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics)। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Biometrics er babohar) লক্ষ্য করা যায়। বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি আসার পরে মানুষের জীবন যাপন আরো সহজ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। তো চলুন আমরা জেনে নিই বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics) কোন কোন ক্ষেত্রে রয়েছে।
  • কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত কোন প্রোগ্রাম বা ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পাসওয়ার্ড এর পরিবর্তে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা যায়। যা বায়োমেট্রিক্সের সফল একটি ব্যবহার।
  • প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যার ফলে সিলেক্টেড ব্যক্তি ছাড়া সেখানে কেউ ঢুকতে পারবে না।
  • বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকিং পেমেন্টের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • মানুষের ডিএনএ (DNA) সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়।
  • নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরিতেও বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির আরেকটি সফল ব্যবহার হল সিম নিবন্ধনে।
  • স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সিকিউরিটির জন্য এখন আমরা বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকি। যেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস লক ব্যবহার করা হয়।
  • বর্তমানে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি জন্ম নিবন্ধনেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির আরেকটি সফল ব্যবহার হচ্ছে পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে। এটি বর্তমানে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির জনপ্রিয় ব্যবহার।
তো এই ছিল মূলত বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Biometrics er babohar)। তাছাড়া বায়োমেট্রিক্স এর আরো কিছু ব্যবহার রয়েছে। তবে প্রধান যে ব্যবহারগুলো এবং যা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা থাকা প্রয়োজন সেগুলো এখানে আলোচনা করা হয়েছে। তো আশা করছি এখন বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics) সম্পর্কে আপনি সুস্পষ্ট একটা ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা - বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Advantages and Disadvantages of Biometrics)

আমি আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের বায়োমেট্রিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Biometrics er subidha o osubidha) এবং বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার (Use of biometrics) সহ বায়োমেট্রিক এর আরও যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সুস্পষ্ট ও সঠিক একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকার হয়েছে। যতটুকু সম্ভব সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোথাও কোন প্রবলেম হয় তবে অবশ্যই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি জানাতে পারেন। 

আমি যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকুও উপকার হয়ে থাকে তবে বিষয়টি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে অবশ্যই ভুলবেন না। তাদের এ বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে । নতুন নতুন সব আপডেট পেতে এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন। তো এই বলে আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানে ইতি টানছি। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।

Share this post with friends

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;

comment url