আলুর ফলন বৃদ্ধির ৫টি উপায় - আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষের ১১টি উপায়
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ এই বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সঙ্গে আমি আলোচনা করব। পাশাপাশি আলু চাষে কীটনাশক ব্যবহার নিয়েও একটি আলোচনা থাকবে ইনশাল্লাহ। আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় বা আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ একজন কৃষকের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আর দেরি না করে আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আলু চাষের সময় মোটামুটি তিন মাসের মত লেগে থাকে। এর মধ্যেই জমি থেকে আলু উঠে যায়। তাই সময় খুব একটা বেশি নয়। আলুর ফলন বৃদ্ধিসহ আলু চাষ সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ পেতে হলে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় - আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ
ভূমিকা | আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় - আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ
আজকে আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আলোর ফলন বৃদ্ধির উপায় এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ। পাশাপাশি আরো থাকছে আলু চাষে কীটনাশক ব্যবহার, আলুর বীজ নির্বাচন, আলু চাষের জন্য মাটি নির্বাচন, আলু চাষের সেচ পদ্ধতি, বীজ শোধন প্রক্রিয়া, বীজ প্রস্তুতি, আলু চাষের উপযুক্ত সময় এবং আগাম আলু চাষ পদ্ধতি সহ আলু চাষের আরো যাবতীয় বিষয় নিয়ে আজকে আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
তো এই সব বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে আপনি আলু চাষের বিস্তারিত একটি ধারণা পাবেন। তো আমি আশা করব আপনি একজন প্রিয় পাঠক হিসেবে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে পড়ে আলু চাষের বিষয়ে অবগত হবেন। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল লেখায় চলে যায়।
আলু চাষে কীটনাশক
আলু চাষে কীটনাশক সম্পর্কে এখন আপনাদের সঙ্গে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব। বিভিন্ন পোকামাকড় এবং আলুর ফলন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আলু চাষ করে বর্তমানে অনেকে লাভবান হচ্ছেন। সঠিক পরিচর্যা এবং সঠিক নিয়ম-কানুন পাশাপাশি পরিমাণ মতো যদি কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার আলুর ফলন বৃদ্ধি পাবে। কাজেই, আমাদের আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে হলে কতটুকু জমিতে কী পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সেই সম্পর্কে একটা সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। যেটা আমাদের অনেকেরই নেই।
আর এজন্যই সঠিক পরিশ্রম করার ফলেও আলোর ফলন ভালো হয় না। যার ফলে আমরা লসের সম্মুখীন হই। আর চিন্তা নেই? এখন আমি আপনাদের সঙ্গে আলু চাষে কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব প্রতি ৩৩ শতাংশ অর্থাৎ এক বিঘা জমিতে কি পরিমান কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। সেই অনুপাতে আপনি আপনার জমির পরিমান অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করতে পারবেন। তো চলুন এক বিঘা জমিতে কোন কীটনাশক কতটুকু ব্যবহার করতে হয় তা জেনে নিই। কীটনাশকগুলো নিম্নরূপঃ
- এক বিঘা জমিতে আলু চাষের জন্য প্রথমে ১২ কেজি ইউরিয়া দিতে হবে।
- টিএসপি সার ৮ কেজি দিতে হবে এবং এমওপি (MOP) ১২ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
- জিপসম ৪ কেজি প্রয়োগ করতে হবে ৩৩ শতাংশ অর্থাৎ এক বিঘা জমির জন্য।
- এরপর সালফার গ্রুপের থিয়োভিট, কমুলাস অথবা সালফক্স দুই থেকে তিন কেজি বিঘা প্রতি প্রয়োগ করতে হবে।
- ম্যাগনেসিয়াম ৩ থেকে ৪ কেজি এবং জিংক সালফেট ৫০০ গ্রাম, বোরাক্স ৫০০ গ্রাম বিঘা প্রতি ব্যবহার করলে আলুর ফলন অত্যন্ত ভালো হয়।
- আলুর আরো ভালো ফলন পেতে সালফার গ্রুপের থিয়োভিট সার প্রয়োগের আট থেকে দশ দিনের মাথায় স্প্রে করলে আলুর ফলন বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। এর সাথে ইমি টাফ প্রতি লিটার পানিতে এক থেকে দুই মিলি করে ব্যবহার করতে পারেন।
- আলু কে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনি মেনকোজেব গ্রুপের ইন্ডোফিল প্রতি এক বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম ব্যবহার করতে পারেন। এটি আলুর উন্নতি সাধনে সহায়তা করবে।
- তাছাড়া আলুর ভিটামিনের জন্য আপনি ফ্লোরা অথবা কমপ্লেসাল সুপার এবং এন্ট্রাকল ব্যবহার করতে পারেন।
এই ছিল মূলত আলু চাষে কীটনাশক ব্যবহার করার পদ্ধতি। তবে জমির ধরন অনুযায়ী কীটনাশকের মাত্রার কম বেশি হতে পারে। মোটকথা, জমির মাটির উপর কীটনাশকের পরিমাণ অনেকাংশে নির্ভরশীল। কাজেই, সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায়
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় বা কিভাবে আলুর ফলন বাড়ানো যায় যায় এটা নিয়ে এখন আমি আপনাদের সঙ্গে আর্টিকেলে আলোচনা করব। আর আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আলোর ফলন বৃদ্ধির উপায়। আলু চাষ লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি।
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফর্মুলা শিখে রাখা উচিত। যেটা আপনার আলোর ফলন বৃদ্ধি করতে কাজে লাগবে। আর এখন আমি আপনাদের সাথে আলোর ফলন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে সেই গুরুত্বপূর্ণ টিপসগুলোই শেয়ার করব ইনশাল্লাহ। বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
বীজ নির্বাচনঃ আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় এবং আলুর ভালো ফলন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আলুর ভালো বীজের দিকে প্রথমত নজর দিতে হবে। কারণ বীজ ভালো হলে ফল ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। ভালো নির্বাচন করা আলুর ভাল ফলন পাওয়ার পূর্ব শর্ত। ভালো বীজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিক অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে পারেন। তারা আপনাকে আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রাক ভালো মানের আলুর বীজ উৎপন্ন করে থাকে। এছাড়াও আরো ভালো মানের কিছু আলুর বীজ হলোঃ
- ডায়ামন্ড
- হীরা
- আইলসা
- পেট্রোনিস
- চমক
- কার্ডিনাল মন্ডিয়াল
- মুল্টা
বর্তমান সময়ে এগুলোই হল আলুর উন্নত বীজ। এই জাতগুলো চাষ করলে বিঘা প্রতি আলুর ফলন বৃদ্ধি পাবে। আলুর ভালো ফলন পেতে হলে আপনি এই বীজগুলো চাষ করতে পারেন। আশা করা যায় আপনি ভালো আলোর ফলন পাবেন এবং আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে এই বীজগুলো অত্যন্ত কার্যকর।
জমির মাটি নির্বাচনঃ আলুর ফলন বৃদ্ধির পদ্ধতি নিয়ে দ্বিতীয়ত যে জিনিসটি মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে জমির মাটি নির্বাচন করা। ভালো বীজ নির্বাচন করার পরে আপনাকে জমির মাটি নির্বাচন করতে হবে। সব মাটি কিন্তু আলু চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। আলু চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হল দোঁআশ মাটি। আলোর ভালো ফলন পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে দোঁআশ মাটি বেছে নিতে হবে।
আপনি যদি দোঁআশ মাটি না চিনেন তাহলে সেক্ষেত্রে কৃষি কর্মকর্তার সাহায্য নিতে পারেন। ঠিকঠাক মাটি নির্বাচন করতে পারলেও আপনার ফলন বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে। তো এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী।
পরিমিত কীটনাশক ব্যবহারঃ আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে হলে আপনাকে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এই আর্টিকেলের উপরের প্যারাগ্রাফে আমি এক বিঘা জমির জন্য কীটনাশক ব্যবহারের নিয়ম অর্থাৎ কি পরিমান কীটনাশক ব্যবহার করবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রয়োজন বোধে আপনি সেখান থেকে সেগুলো দেখে নিতে পারেন। আশা করি আপনার অনেক কাজে লাগবে। তবে অবশ্যই জমিতে পরিমাণ মতো সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত আলোর ভালো ফলন পেতে হলে।
সেচ পদ্ধতিঃ এবারে আলুর ভালো ফলন পেতে করণীয় হল ঠিকমতো জমিতে সেচ প্রদান করা। সেচ এমন একটা পদ্ধতি যেটা কম বেশি হলে আলুতে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই, এক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। জমির মাটি যদি রসালো থাকে তবে অল্প পরিমাণ সেচ দেওয়াই ভালো। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আলুর বীজ রোপন করার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ প্রদান করতে হয়।
তারপর আবার ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় সেচ প্রদান করতে হবে। এরপর ২২ থেকে ২৫ দিন পর তৃতীয় সেচ দিতে হবে । এই নিয়মটি ফলো করলে আশা করা যায় আপনার আলোর ফলন ভালো হবে। আর যেটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন সেটা হচ্ছে সেচ দেওয়ার সময় আলুতে পানি যাতে বেশি এবং কম না হয় সেই দিকে।
পোকামাকড় দমন করাঃ আলুর ভালো ফলন পেতে হলে আলু কে অবশ্যই পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আর আলুকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে অর্থাৎ পোকামাকড় দমন করতে সালফার গ্রুপের থিয়োভিট ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া এই সম্পর্কে উপরে প্যারাগ্রাফে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন আলুতে পোকামাকড় দমন করতে হলে কোন কীটনাশক গুলো ব্যবহার করতে হয়।
এই ছিল মূলত আলুর ফলন বৃদ্ধি করার উপায়। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনাকে এগোতে হবে পাশাপাশি পরিশ্রম করতে হবে যাতে করে আলুর ফলন আরো বৃদ্ধি করা যায়। তো আশা করছি বিষয়গুলো মোটামুটি বুঝতে পেরেছেন।
আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ
আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ আজকের আর্টিকেলের প্রধান আরেকটি আলোচ্য বিষয়। আলু চাষের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। আলু মূলত শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম। আলু শীতকালে চাষ করা হয়ে থাকে। আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করার কিছু নিয়ম নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কাজেই, আগের নিয়মে আলু চাষ করলে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে না।
তাই আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে আধুনিক পদ্ধতি মেনে আলু চাষের কোন বিকল্প নেই। উপরের প্যারাগ্রাফে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে যেমন ভালো ফলন পাওয়া যায় সেগুলোই কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষের নিয়ম। সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি আলু চাষ করতে পারেন। পাশাপাশি আলু চাষের আরো কিছু আধুনিক পদ্ধতি রয়েছে যে পদ্ধতি নিয়ে এখন আলোচনা করবঃ
বীজ শোধন প্রক্রিয়াঃ আধুনিক পদ্ধতি মেনে আলু চাষের জন্য আপনাকে আপনাকে প্রথমত বীজ শোধনের দিকে নজর দিতে হবে। বীজ শোধন প্রক্রিয়া আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ এর প্রথম ধাপ। মিশ্র বীজ চাষের পরিবর্তে শোধনকৃত ভালো ভালো বীজ নির্বাচন করাই উত্তম প্রক্রিয়া হবে আধুনিক আলু চাষ করার জন্য।
বীজ প্রস্তুতিঃ এরপর যে বিষয়টির কথা মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে বীজ প্রস্তুতি। ভালো মানের বীজ প্রস্তুত করতে পারলে আপনার ফলন ভালো হবে এবং ফলন ভালো হলে ভালো মানের অর্থ উপার্জন হবে আলু বিক্রির মাধ্যমে। কাজেই বীজ প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ব্রাক মোটামুটি মানের ভালো আলোর বীজ উৎপাদন করে থাকে।
বীজ প্রস্তুতির জন্য আলু কাটার সময় ভালো করে ছুরিটি পরিষ্কার করে নেবেন এবং আলুর অংকুর যাতে কেটে নেয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাছাড়া আলুর ফলন কিন্তু ভালো হবে না। কাজেই আধুনিক আলু চাষ পদ্ধতিতে বীজ প্রস্তুতির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ
- বীজ যাচাই বাছাই করন।
- জমির সঠিক পরিচর্যা করা।
- মাটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া।
- কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা।
- সঠিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা।
- সেচ প্রদানের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা।
- আগাছা দমনের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা।
- পোকামাকড় দমনের জন্য সঠিক পরিমাণ কীটনাশকের ব্যবহার করা।
- তাছাড়া সময়ের প্রতিও নজর দিতে হবে। আলু চাষের উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল।
এগুলোই হল মোটামুটি আধুনিক পদ্ধতি মেনে আলু চাষ করার নিয়ম। এই বিষয়গুলো আপনি মাথায় রেখে এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে যদি আলো চাষ করেন তাহলে আপনার আলোর ফলনও ভালো হবে এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হবে। তো আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
আলু চাষের উপযুক্ত সময় | আগাম আলু চাষ পদ্ধতি
আলু চাষের উপযুক্ত সময় এবং আগাম আলু চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে এখন আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে জানার চেষ্টা করব। আলু চাষের উপযুক্ত সময় হলো মূলত শীতকাল। মোটামুটি নভেম্বর মাস (বাংলায় কার্তিক মাস) থেকেই আলু লাগানো কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় এবং নভেম্বর মাস পুরোটা আলু লাগানো চলমান থাকে। অতি তাড়াতাড়ি লাগানোই ভালো। তার কারণ হলো দিন বাড়তে থাকলে আলুর গাছের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে যাবে। আর এতে আলুর টিউবার গঠন হতেও সময় লেগে যাবে।
কাজেই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঝামাঝি শীতের মধ্যেই আলুর ওপর করা জরুরি। এবার আসা যাক আগাম আলু চাষ পদ্ধতি নিয়ে। কৃষকরা অধিক লাভবান হওয়ার আশায় আগাম আলু চাষ পদ্ধতি কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আগাম আলু চাষ পদ্ধতি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। যেহেতু ফসলটি আগাম চাষ করা হচ্ছে তাই এ থেকে ভালো টাকা-পয়সা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। আগাম আলু চাষ করতে হলে আপনাকে কৃত্রিম উপায়ে আলু চাষের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
শীতের কুয়াশার পরিবর্তে এখন সকালের শিশির কে কাজে লাগিয়েই এখন চাষিরা আগাম আলু চাষে মগ্ন হয়েছেন। আগাম আলু চাষের ভালো জাত হল ক্যারেজ আলু। এর চাহিদাও বাজারে অত্যাধিক বেশি। তো আশা করছি আলু চাষের উপযুক্ত সময় এবং আগাম আলু চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা পেয়েছেন।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় - আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায় এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ পাশাপাশি আলু চাষে কীটনাশক সহ আলু চাষের আরো যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অত্যন্ত সহজ এবং সাবলীল ভাষায় বিষয়গুলো আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। এরপরও যদি আপনার কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আমি যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার বিন্দুমাত্র উপকার হয়ে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করুন। তাদেরকেও আলু চাষের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে। আর সবসময়ের মত বলতে চাই বিভিন্ন আপডেট খবর সহ বিভিন্ন বিষয়ের খবর সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানতে হলে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) ভিজিট করুন এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাপোর্ট করুন।
যাতে করে নিত্যনতুন সব খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে সাহায্য করতে। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। পরবর্তীতে কথা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হই। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;
comment url