পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ১৫ টি ঘরোয়া উপায় - পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত সাথে সাথে মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় এটি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত তা জেনে নিই।
পিরিয়ডের-ব্যথা-কমানোর-ঘরোয়া-উপায়
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে একজন মেয়ের জন্য এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ হলো একজন মেয়ের পিরিয়ড হয় এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা উচিত যা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পাবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

ভূমিকা | পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

সুপ্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত। এর সাথে সাথে মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয়, মাসিক হলে কি কি করা যাবে না এবং পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয় সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি প্রত্যেকটা মেয়ে মানুষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পিরিয়ড সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হলে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়ুন। তাহলে আপনি অনেক বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে আমি আশা করব আপনি একজন মনোযোগী পাঠক হিসেবে এই আর্টিকেলটি পড়বেন এবং পিরিয়ড সংক্রান্ত সকল বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।

মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয়

মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় এই সম্পর্কে আমার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় এই বিষয়টি জানতে পারবেন। মেয়েদের পিরিয়ড এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সম্পর্কে ধারণা রাখা একজন মেয়ের জন্য অতিব জরুরী। বিশেষ করে যাদের বয়সন্ধিকালে প্রথম পিরিয়ড হয় সেক্ষেত্রে একটি মেয়ে অত্যন্ত হীনমন্যতার সম্মুখীন হয়। সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এই সময় অনেকেই ভুল করে থাকে। যার ফলে নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা প্রয়োজন।
অন্যান্য সময়ের তুলনায় পিরিয়ডের সময় গুলোতে চেষ্টা করবেন সবসময় ঘরে থাকার জন্য এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। এটি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে একটি মেয়ের প্রথম করণীয়। আবার পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পিরিয়ডের সময় যেহেতু প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তাই চেষ্টা করবেন এই সময় অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য। বিশেষ করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে। আবার পিরিয়ডের সময় অবশ্যই প্যাড ব্যবহার করতে হবে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অবশ্যই এগুলো পালন করবেন।

আবার পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কাপড়ে যদি জীবাণু থাকে তবে আপনার ইনফেকশন করতে পারে। তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহার করার জন্য। আর পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নিয়মিত গোসল করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যেন পেটে আঘাত না লাগে সেদিকে অধিক লক্ষ্য রাখতে হবে। এই সময়ে ভারী কাজ, ব্যায়াম ইত্যাদি করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় হবে। আশা করছি মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় তা আপনি জানতে পেরেছেন।

মাসিক হলে কি কি করা যাবে না

মাসিক হলে কি কি করা যাবে না এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে। লজ্জা করলে চলবে না, সঠিক ধারণা সবাইকেই রাখতে হবে। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি মাসিক হলে কি কি করা যাবে না এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। মাসিক হলে বেশ কিছু কাজকর্ম থেকে অবশ্যই একজন নারীকে বিরত থাকতে হবে। মাসিক হলে কোন কাজগুলো করা যাবে না তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • প্রথমত মাসিক হলে অবশ্যই সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • মাসিকের সময় অ্যালকোহল যুক্ত খাবার সেবন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • মাসিকের সময় পেটে তীব্র ব্যথা হয় বলে অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকেন। এ কাজটি মোটেও করা ঠিক না। কারণ উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক মত হয় না ফলে মাথা ঝিমঝিম থেকে শুরু করে মাথা যন্ত্রণা করে।
  • মাসিকের সময় অবশ্যই ভারী কাজকর্ম এবং ভারী জিনিসপত্র তোলা থেকে বিরত থাকবেন। তা না হলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
  • যাদের ব্যায়াম করার অভ্যাস রয়েছে তারা মাসিকের সময় অবশ্যই ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, মাসিক চলাকালীন সময়ে ব্যায়ামের ফলেও শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
  • মাসিকের সময় আমাদের অনেককেই দেখা যায় যে কোন ধরনের কাপড় ব্যবহার করতে। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কাপড়টি যেন অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়। তা না হলে ইনফেকশন সৃষ্টি হতে পারে। তাই মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
  • বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতানুসারে, মাসিকের সময় ডিম, শসা এবং চিংড়ি মাছ খাওয়া উচিত না। মাসিকের সময় এই খাবারগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন।
  • মাসিক চলাকালীন সময়ে অনেক রাত জেগে থাকা ঠিক না। কারণ মাসিক চলাকালীন সময় শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকে। তাই, চেষ্টা করবেন এই সময়ে সব সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।
  • মাসিক চলাকালীন সময়ে অবশ্যই অধিক মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • মাসিকের সময় অনেককে গোপন স্থান অতিরিক্ত পরিষ্কার এবং সুগন্ধি সাবান অথবা বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ কাজটি ভুলেও করবেন না। কারণ ওই স্থানটি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার জন্য শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
উপরোক্ত যে আলোচনাটি করা হলো সেগুলো মাসিক চলাকালীন সময়ে করা যাবে না। এখন আশা করছি মাসিক হলে কি কি করা যাবে না এই বিষয়টি আপনি জানতে পেরেছেন।

পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয়

পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকেই জানতে চাই। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে একজন মহিলার বেশ কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। যে সমস্যাগুলো আমাদের সকলেরই জেনে থাকা প্রয়োজন। আর আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়টি জানাতে চলেছি। পিরিয়ড হলে প্রথমত যে সমস্যাটি হয় সেটি হল তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়।

পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায়, হাত-পা ব্যথা অনুভূত হয়। আবার পিরিয়ডের সময় খিটখিটে মেজাজ এবং বিরক্তি সাথে সাথে ক্লান্তি অনুভূত হয়। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। এছাড়াও পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে খাবার হজমের সমস্যা দেখা দেয়। আবার পিরিয়ডের সময় মানসিকভাবেও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায় একজন নারীকে। পিরিয়ডের সময় যেহেতু রক্তপাত হয় কাজেই এ সময় শারীরিক নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায় একজন নারীকে।

পিরিয়ডের সময় একজন নারীর শারীরিক অনেক যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। শারীরিক যত্নের কমতি হলে শারীরিক নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। পিরিয়ডের সময় যেহেতু শরীর অনেক দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই সবসময় চেষ্টা করা এই সময়টুকু বিশ্রাম নেয়ার জন্য। এতে করে শরীরের জন্য ভালো হবে। উপরোক্ত এই সমস্যাগুলো পিরিয়ড হলে হয়ে থাকে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। এখন আশা করছি পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় এই বিষয়টি আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত আমরা অনেকেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেন। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে একজন নারীকে অবশ্যই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যেহেতু শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এ সময় চেষ্টা করবেন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ কলা, মাংস, মাছ এবং কলিজা ইত্যাদি খাবার খাওয়ার জন্য। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এই খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। কারণ পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যে রক্তক্ষরণ হয় এতে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রচন্ড পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আপনি চাইলে কচুশাক, পুঁইশাক, লালশাক এবং ডাটাশাক ইত্যাদি সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।
এতে আপনার পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। এর পাশাপাশি আরো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ আমড়া, খেজুর এবং পাকা তেঁতুল ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারগুলো পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে খেলে অত্যন্ত উপকার পাওয়া যায়। পিরিয়ডের সময় হিমোগ্লোবিনের চাহিদা পূরণের জন্য উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আবার পিরিয়ডের সময় গুলোতে হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খেতে পারেন। তাছাড়া এই সময়ে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলেও অনেক উপকার মিলে। তাই খাবার তালিকায় আপনি মিষ্টি কুমড়ার বিচি, মিষ্টিআলু, ব্রকলি, টমেটো, লেবু, আখরোট, তরমুজ এবং ছোলা এই খাবারগুলো যুক্ত রাখতে পারেন। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে খাবারগুলো খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা আপনার শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে।

তাছাড়া ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারও গ্রহণ করা যেতে পারে। আবার পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ আমলকি, মালটা, জলপাই, কামরাঙ্গা এবং জাম্বুরা এই খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে। এই সময়ে এই খাবারগুলো আপনার শরীরে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অবশ্যই টক দই খাওয়া উচিত। এ সময়ে এটি খেলে আপনি মানসিকভাবে শান্তি পাবেন। আবার ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যেমনঃ বাদাম, চিয়া সিড, সয়াবিন এবং তিসি তেল পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে খাওয়া উচিত। আবার পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ডাবের পানি এবং ডাল জাতীয় খাবার খেলেও অনেক শক্তি পাওয়া যায় বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। এতক্ষণ আপনাদের সাথে পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়। পিরিয়ডের সময় প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয়। আর সেই ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবে আমরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। যে পদক্ষেপগুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া যে উপায়গুলো রয়েছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আদার রস অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কাজেই, পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবে আপনি আদার রস পান করতে পারেন।
  • আবার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে হলে আপনি পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেক কমে যায়। এটিও ঘরোয়া ভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর একটি পদ্ধতি।
  • পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া আরেকটি উপায় হতে পারে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা এই পানি পান করার দরুন কমে যেতে পারে।
  • আবার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে হলে পেটে সহনীয় গরম পানির হালকা সেঁক দেওয়া প্রয়োজন। এতে করেও ঘরোয়া ভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো সম্ভব।
  • এছাড়াও পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবে আপনি ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। যখন পিরিয়ডের ব্যথা হবে তখন এই তেলটির পেটে ভালোভাবে মালিশ করলে পিরিয়ডের ব্যথা দূরীভূত হয়।
  • আবার পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে ঘরোয়া ভাবে আপনি অ্যালোভেরার রস জুস তৈরি করে খেতে পারেন। অ্যালোভেরার রসে অনেক ঔষধি গুন থাকায় পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে করতে সাহায্য করবে।
  • আবার ঘরোয়া ভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আপনি নারিকেল তেল এবং তিলের তেল পেটে ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন। এটিও পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
  • ঘরোয়াভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে দারচিনিও বেশ উপকারী। দারচিনির গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে শরবত করে খেয়ে নিলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকাংশেই কমে যায়।
  • আপেল সিডার ভিনেগারও ঘরোয়া ভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করে। তাই পিরিয়ডের ব্যথার সময় আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যেতে পারে। এটিও পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় হতে পারে।
  • আবার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আনারস অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত।
  • তীব্র পিরিয়ডের ব্যথার সময় আপনি ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাবেন। এতে করে আপনার পিরিয়ডের ব্যথা অনেক কম হবে।
  • আবার পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি তেঁতুলও খেতে পারেন। তেঁতুল অনেকাংশেই পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বলে চিকিৎসকের দাবি। কাজেই, পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খাওয়া পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় হতে পারে।
  • ঘরোয়া ভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে শরীর ম্যাসাজ করতে হবে। শরীর ম্যাসাজ করলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেক কম অনুভূত হয়।
  • আবার পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি চাইলে পানির সাথে তুলসীর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটিও পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া একটি উপায়।
  • পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে হলে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অবশ্যই কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ কফিতে ক্যাফেইন থাকে। আর এই উপাদানটি পেটের ব্যথা আরও তীব্র করে খেলে। তাই পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে কফি পান করা থেকে থেকে বিরত থাকুন।
উপরোক্ত যে আলোচনাগুলো করা হলো তার সবগুলোই হল পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে এখন আপনি ঘরোয়া ভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

পরিশেষে, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত আশা করি এই বিষয়টি জানতে পেরেছেন। সাথে সাথে আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোথাও বুঝতে অসুবিধা মনে হয় তবে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আমি চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি এতটুকু উপকার মনে হয় তবে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদেরও পিরিয়ড বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।

আর এরকম নিত্যনতুন সব আপডেট খবর সবার আগে জানতে চাইলে অবশ্যই আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি সর্বদা চেষ্টা করি সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করবেন তিনি যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

Share this post with friends

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment in accordance with the policy of the 'M.F. Hossain' website. Each comment is reviewed;

comment url